ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে আবদুল মন্নান নামে এক ব্যক্তি লিঙ্গ কর্তন ও গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
শুক্রবার উপজেলার আমরিবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
দুই সন্তানের জননী ভিকটিম ও এলাকাবাসী জানায়, মন্নান বহুদিন ধরে ভিকটিমকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। গৃহবধূ রাজি না হওয়ায় তার স্বামীর বিরুদ্ধে চুরির ‘মিথ্যা’ অভিযোগ দিয়ে তাকে বাড়িছাড়া করে। ঘটনার রাতে মন্নান ভিকটিমের বাড়িতে গিয়ে দরজায় নক করলে গৃহবধূ দরজা খুলেন। কিছু বুঝে না উঠতেই মন্নান তার মুখ চেপে ধরে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় গৃহবধূ ছুড়ি দিয়ে মন্নানের গোপনাঙ্গে আঘাত করেন। পরে ডাক-চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে মন্নানকে গণধোলাই দেয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মাঈনুল হোসেন জানান, আমি বিষয়টি চেয়ারম্যানকে অবহিত করে গুরুতর আহত মন্নানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পাঠিয়ে দিই।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রবিবার দুপুরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, রেন্ট এ কার-এর মালিক মন্নান দীর্ঘদিন ধরে কাঁঠালিয়া থানা পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করে আসছিলেন। থানার ওসি থেকে শুরু করে বেশির ভাগ পুলিশের উৎকোচের প্রধান মাধ্যম এই মন্নান। হয়রানির ভয়ে মামলার সাধারণ বাদী ও বিবাদী তটস্থ থাকত। নারীঘটিত এমন অনৈতিক কাজে কোনো কোনো পুলিশ সদস্যকেও সহযোগিতার করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
কাঁঠালিয়া থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক আ. মালেক এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি।
||আপডেট: ০৮:৫৫ অপরাহ্ন, ০১ এপ্রিল ২০১৬, শুক্রবার
চাঁদপুর টাইমস /এমআরআর