চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার প্রবাসী গৃহবধূ বাংলাদেশ ও প্রবাসে দু’পুরুষের সাথে বসবাস নিয়ে সন্তানসহ বিপাকে পড়েছেন তার স্বামী। বর্তমানে গৃহবধূ ‘গর্ভে দ্বিতীয় স্বামীর সন্তান’ নিয়ে তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নে বসবাস করছেন।
আলোচিত এ গৃহবধূ পূর্বের স্বামীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ না করেই প্রবাসে অন্য পুরুষের সাথে বসবাস ও সন্তান ধারণ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে।
আলোচিত গৃহবধূর নাম লাকি। তিনি চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার ৫ নং সদর ইউনিয়নের মৌশাইদ গ্রামের আবদুস সাত্তারের স্ত্রী।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, পূর্বের স্বামীর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করার পাশাপাশি প্রবাসে গিয়ে নতুন কথিত স্বামীর সাথে ৮ মাস ধরে বসবাস করছেন। ‘বিয়ে বহির্ভূত’ তার ‘গর্ভে’ আট মাসের ‘সন্তান’ রয়েছে।
এদিকে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জেও গ্রামের বাড়িতে পূর্বের স্বামীর সাথে লাকির দুটি সন্তান রয়েছে, এদের একজন ও চৌদ্দ বছর বয়সী রবিউল ও দশ বছর বয়সী জুয়েল।
লাকি সাংবাদিকদের জানায়, ‘গত ১বছর পূর্বে তিনি ওমান গিয়েছিলেন। সেখানে কুমিল্লা সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের আব্দুর রাজ্জাক মিয়ার ছেলে এমরানের সাথে তার পরিচয় হয়। সেখানে তিনি আট মাস তার সাথে বসবাস করেছেন।’
লাকি আরো জানায়, ‘গত আট মাস ধরে এমরানের সাথে ঘুমিয়েছি, খেয়েছি। এমরান আমাকে দেশে পাঠিয়েছে। সে আমাকে বিয়ে করবে আমিও তাকে বিয়ে করব। আমার পেটে এমরানের বাচ্চাও আছে।’
লাকীর স্বামী আব্দুস সাত্তার জানান, ‘২০০১ সালে তারা বিয়ে করে সুখে শান্তিতে বসবাস করে আসছে। লাকি গত ১ বছর পূর্বে যখন বিদেশ যেতে ইচ্ছা পোষণ করে তখন তিনি তাকে বারণ করেছিলেন। বিদেশ যাওয়ার পর লাকি সন্তানদের সাথে যোগযোগ রক্ষা করে আসছে। আমি কিন্তু এরই মধ্যে সে সন্তানদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে আসছে।’
লাকির স্বামী আরো জানান, ‘লাকি বাংলাদেশে এসে গোপনে কুমিল্লায় বসবাস করছে, এ খবর পেয়ে আমি তাকে হাতে নাতে ধরে ফেলি । সে আমার সাথে প্রতারণা করেছে। আমি আমার ছেলেদের দিকে তাকিয়ে অন্যত্র বিয়ে করিনি।’
এদিকে লাকির কথিত প্রবাসী স্বামী এমরান মুঠোফোনে জানায়, ‘আমি ওমান আছি আগামি এক মাসের মধ্যে দেশে আসবো এবং লাকিকে বিয়ে করবো। তার পেটে আমার বাচ্ছা আছে। আমি ওমানে হুজুর দিয়ে দোয়া পড়ে বিয়ে করেছি।’
স্থানীয়দের অভিযোগ, লাকী পূর্বের স্বামীকে তালাক না দিয়ে নতুন করে কিভাবে বিয়ে করে। আর যে ছেলেকে বিয়ে করবে সেও দশ বছরের ছোট। এমরানের মায়ের সমান বয়স। এই মহিলা আরো একটি সংসার নষ্ট করার পায়তারা করছে।’
এ ঘটনায় স্থানীয় কাজী সিদ্দিকুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘ইসলামিয়া শরিয়া আইনে স্পষ্ট বলা আছে কোন মহিলা নতুন করে বিবাহ করতে চাইলে বা নতুন স্বামী গ্রহণ করতে চাইলে পূর্বের স্বামীকে তালাক দেওয়ার তিন মাস তের দিন পরে নতুন করে বিবাহ করতে পারবে।’
বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কের বিষয়ে এ কাজী জানান, ‘যদি কোনো নারী তালাকের পূর্বে অন্য পুরুষের সাথে মেলামেশা করে তাহলে সে হাশরের দিন কঠিন বিচারের সম্মুখীন হবে। আর তার পেটে যে সন্তান আছে তা জারজ (অবৈধ) সন্তান হিসেবে পরিগণিত হবে।’
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১:০০ এএম, ২৯ আগস্ট ২০১৬, সোমবার
ডিএইচ