Home / জাতীয় / ‘দুঃখ একটাই জিয়ার বিচারটা আমি করতে পারলাম না’
Comdeka-hasina
ফাইল ছবি

‘দুঃখ একটাই জিয়ার বিচারটা আমি করতে পারলাম না’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডে ‘জড়িত’ জিয়াউর রহমানের বিচার করতে না পারার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জিয়ার যা পরিণতি হয়েছিল, তা তার অবধারিত। তবে আমার দুঃখ একটাই যে তার বিচারটা আমি করতে পারলাম না। তার আগেই সে মরে গেলো।

বুধবার (১ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের সামনে কৃষক লীগ আয়োজিত রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধনকালে এ সব তিনি কথা বলেন।

১৯৭৫ সালে নির্মমভাবে জাতির পিতাকে সপরিবারে নিহত হওয়ার ঘটনায় তৎকালীন সেনা উপপ্রধান এবং পরবর্তীতে রাষ্ট্র ক্ষমতাদখলকারী জিয়াউর রহমানের জড়িত থাকার দাবি করে মরণোত্তর বিচার দাবি করে আসছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। ৭৫ এর পর রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসা জিয়াউর রহমান ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে নিহত হন।

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচারে আত্মস্বীকৃত খুনিদের পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে, কয়েকজন বিদেশে পালিয়ে আছে।

জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র প্রধান হওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিভিন্ন দেশে কুটনীতিক মিশনে চাকরি দেওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কেন পুরস্কৃত করেছিল? জিয়া এই ঘটনার সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে জড়িত ছিল বলেই এই খুনিদের পুরস্কৃত করেছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, খুনিরা এটাও বলে, তাদের সঙ্গে জিয়াউর রহমানের সম্পর্ক ছিল। জিয়াউর রহমানকে তারা জানিয়েছিল এবং জিয়াউর রহমান বলেছিল, এগিয়ে যাও। তোমরা সফল হলে আমরা আছি।

বিদেশে পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে সাজা কার্যকর করার প্রচেষ্টার কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এখনও কিছু খুনি আছে বিভিন্ন দেশে। আমরা চেষ্টা করছি, তাদের ফিরিয়ে আনতে।

বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তায় ধস নামাতে চেষ্টা করেও সফল না হওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়েছিল। বহু চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তা ছিল পাহাড়সম।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ বিভিন্ন সময় নিজের ওপর হামলার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমার ওপর বারবার আঘাত এসেছে। আরও হয়তো আসবে। আমি এসবের পরোয়া করি না। মৃত্যুকে কখনও পরোয়া করিনি। আমি শুধু এটুকু মনে করি, আমি বেঁচেই আছি; আমার বাবার অধরা কাজগুলো সম্পন্ন করতে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, সংসদ সদস্য ফজলে নূর তাপস এবং কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার সামসুল হক রেজা।

সভাপতিত্ব করেন কৃষক লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লা।

Leave a Reply