Home / জাতীয় / দীর্ঘ সময়েও সাংবাদিকদের জন্য স্নাতকোত্তর কোর্স চালু করতে পারেনি
দীর্ঘ সময়েও সাংবাদিকদের জন্য স্নাতকোত্তর কোর্স চালু করতে পারেনি

দীর্ঘ সময়েও সাংবাদিকদের জন্য স্নাতকোত্তর কোর্স চালু করতে পারেনি

ডেস্ক রিপোর্টঃ

গণমাধ্যামকর্মীদের কল্যাণে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি)। সংবাদকর্মীদের পেশাগত শিক্ষা, দিক নিদের্শনা সংক্রান্ত গবেষণাসহ বিভিন্ন সহযোগিতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দ্যেশ্যে গড়ে উঠে প্রতিষ্ঠনটি। প্রতিষ্ঠার ৪২ বছরেও লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটি। শুরু থেকেই গণমাধ্যম কর্মীদের উচ্চশিক্ষায় বিভিন্ন কোর্স চালুর কথা থাকলেও আজো তা বাস্তবায়ন হয়নি।
সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবর রহমানের নেতৃত্বর্ধীন ১৯৭৪ সালে গড়ে উঠে পিআইবি। এ প্রতিষ্ঠানে সাংবাদিকতা বিষয়ে উচ্চশিক্ষা, যোগাযোগ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ, সাংবাদিকতা গবেষণা ও প্রকাশনামূলক কার্যক্রম এবং স্নাতক ও স্নাতকোত্তরসহ বিভিন্ন কোর্স পরিচালনা ও সার্টিফিকেট প্রদাণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরি রোডে গড়ে উঠে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠার শুরুতে ন্যাশনাল প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইএন) নামকরণ করা হলেও ১৯৭৬ সালে তা পরিবর্তন করে পিআইবি নামকরণ হয়। গণমাধ্যম কর্মীদের সহায়ক এ সংস্থাটি বরাবর স্নাতকোত্তর কোর্স কার্যক্রম শুরুর প্রত্যাশা দিলেও ৩৩ জন মহাপরিচালক মেয়াদ শেষ করে বিদায় নিলেও এখনো সাংবাদিকতায় উচ্চ শিক্ষা কোর্স চালু হয়নি।
সূত্র জানায়, প্রতিষ্ঠানের প্রধানের দায়িত্ব নিয়ে প্রায় সকলে অর্থ উপার্জনে দুর্নীতিগ্রস্থ হওয়ায় পিআইবি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে সাংবাদিকদের সহায়ক এই প্রতিষ্ঠান থেকে পেশাগত সুবিধা পাচ্ছেনা গণমাধ্যমকর্মীরা।
সূত্র জানান, ইতোমধ্যে পিআইবির আকার ক্ষদ্র থেকে বৃহত্তর হলেও কজের কাজ হচ্ছে না। দায়ভার সারতে শুরু থেকেই এক বছর মেয়াদি সার্টিফিকেট কোর্স (ডিপ্লোমা) দিয়েই চলছে পিআইবির শিক্ষা কার্যক্রম। পিআইবিতে বিলাস বহুল তিনটি ভবন তৈরি করা হলেও ভিজিটর ও শিক্ষার্থীদের তথ্য প্রদাণে নেই তথ্য কেন্দ্র।
বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো শাহ আলমগীর জানান, গণমাধ্যমকর্মীদের সহায়ক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পিআইবি কাজ করে যাচ্ছে। এটি একটি জাতীয় সংস্থা মন্তব্য করে বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে মূল লক্ষ্যমাত্রা থেকে কিছুটা পিছিয়ে আছে। গণমাধ্যমকর্মীদের কল্যাণে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নিয়েছি। গত এক বছরে বিষয় ভিত্তিক সাংবাদিকদের নিয়মিত ৮৯টি কর্মশালার আয়োজন করেছি। পিআইবিতে উচ্চ শিক্ষা চালুর বিষয়ে তিনি জানান, এই প্রক্রিয়াটি অনেক পুরনো। তবে তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। আমি গত তিন বছর ধরে দায়িত্ব গ্রহণ করেই এটি বাস্তবায়নে সকল প্রস্তুতি শেষ করেছি। অর্থমন্ত্রণালয়ের অনুমোদন মিললে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। আগামী জুন থেকে মাস্টার্স চালু কোর্স চালু হতে পারে বলে জানান। তথ্য কেন্দ্র ছাড়াই চলছে এই সংস্থাটি এমন অভিযোগে তিনি জানান, আমাদের জনবল সংকটের ফলে একজন লাইব্রিয়ান দুটি দায়িত্ব পালন করায় অধিকাংশ সময় তথ্য কেন্দ্র ফাঁকা থাকছে বলে জানান। (আমাদের সময়)