স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চাঁদপুর টাইমস :
মানবতাবিরোধী অপরাধে আপিলের চূড়ান্ত রায় হয়ে গেছে জামায়াত নেতা মুজাহিদের। এবার বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী পালা। সাকার আপিল শুনানি মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে, এটাও তাঁর জানা।
এরই মধ্যে সহযোদ্ধা মুজাহিদের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখার খবরটিও পৌঁছে গেছে সাকার কানে। তবে এ নিয়ে তার তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। যেন ফাঁসি নিয়ে তার কোনো ভাবনাই নেই। সাকা এখন গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে বন্দী রয়েছেন।
সূত্র জানায়, দীর্ঘ বন্দী জীবনে সাকা চৌধুরী যেন আরও খিটখিটে হয়ে গেছেন। দীর্ঘ নিঃসঙ্গতায় আগের সেই ভেংচি কাটা স্বভাব যেন আরও বেড়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, কারণে-অকারণে মানুষকে ভিংচি কাটেন তিনি, এ নিয়ে তার আশপাশের বন্দীরা রীতিমতো অতিষ্ঠ।গালিগালাজও চলে সমান তালে। এ কারণে কারাগারের স্টাফ থেকে শুরু করে তার আশপাশের সবাই তাকে এড়িয়ে চলেন। অকারণে এই লোকটার সঙ্গে কেই কথা বলতে চায় না। কেমন আছেন জিজ্ঞাসা করলেও ভেংচি খেতে হয়।সেই সঙ্গে বাবা-মা তুলে বকাবকি তো রয়েছেই।
কারাগার সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সকালে বদর নেতা আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখার খবর পান সাকা চৌধুরী। ওই খবর শোনার পরও তাকে বেশ চুপচাপ দেখা গেছে।
এদিকে বুধবার আপিল বিভাগে তার মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিলের শুনানি শুরু হচ্ছে। মুজাহিদের চূড়ান্ত আদেশ হয়ে যাওয়ার পর এখন তার আপিল শুনানি দ্রুত এগুবে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
কাশিমপুর কারাগারে পার্ট-১ এ থাকা বিএনপির এই শীর্ষ নেতা কেমন আছেন জানতে চাইলে কাশিমপুর পার্ট-১ এর জেলার মো. ফরিদুর রহমান রুবেল বলেন, কারাগারে সাকা চৌধুরী ভালো আছেন। তার কোনো অভিযোগ নেই। কারাবিধি মোতাবেক তার সঙ্গে আচরণ করা হয়ে থাকে।
২০১৩ সালের ১ অক্টোবর মানবতাবিরোধী অপরাধে জাড়িত থাকার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা মামলায় সাকা চৌধুরীর বিরদ্ধে ফাঁসির রায় দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল-১ । মোট ২৩টি অভিযোগের মধ্যে চট্টগ্রামের গহিরা শ্রী কুন্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মালিক অধ্যক্ষ নূতন চন্দ্র সিংহ হত্যাসহ মোট চারটি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। পরে তিনি এর বিরুদ্ধে আপিল করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে। এখন সেই আপিলের শুনানি চলছে। এই রায়েই নির্ধারিত হয়ে যাবে প্রভাবশালী এ নেতার ভাগ্য।
প্রসঙ্গত, হরতালে গাড়ি পোড়ানো ও ভাঙচুরের এক মামলায় সাকা চৌধুরীকে ২০১০ সালের ১৫ ডিসেম্বর রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। তদন্তের স্বার্থে এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ১৯ ডিসেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তার বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, ধর্মান্তরে বাধ্য করার মতো ২৩টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আপডেট: ১২:৪৩ অপরাহ্ন, ১৭ জুন ২০১৫, বুধবার
চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/ এমআরআর/২০১৫
চাঁদপুর টাইমস ডট কম-এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur