জাতীয়

দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন বাস্তবতা, বিজয়ের মাসে আরেকটি বড় অর্জন

একটি দীর্ঘ স্বপ্নের বাস্তবতা, বিজয়ের মাসে আরো একটি বড় বিজয়। অবশেষে পদ্মার দুপাড় একত্রিত হলো। আর এই স্বপ্নবুননে চোখ মেলে তাকাল পুরো জাতি, পুরো বিশ্ব। বাংলাদেশ বিজয়ের মাসে দখিয়ে দিল আমরা নিজ পায়ে দাঁড়াতে পারি। এমনটাই বলছেন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা।

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নির্মাণাধীন অবকাঠামো পদ্মা সেতুর সর্বশেষ স্প্যানটি বসানো হয়েছে। ৪১ স্প্যানে দৃশ্যমান হলো পুরো পদ্মা সেতু। বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ সেতুর ১২ ও ১৩ নম্বর খুঁটির ওপর স্প্যান বসানোর কাজ শুরু হয়। বেলা ১২টায় সেতুর স্প্যানটি বসানোর কাজ শেষ হয়। এর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হলো ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটারের পুরো পদ্মা সেতু।

এরপরে সড়ক ও রেলের স্ল্যাব বসানোর কাজ শুরু হবে। পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক মোঃ. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, আমাদের সর্বশেষ স্প্যানটি ১০ই ডিসেম্বর স্থাপন করার মধ্য দিয়ে সেতুর মূল কাজটি শেষ হয়ে গেল, অর্থাৎ কাঠামো তৈরি হয়ে গেল। এই স্প্যানটি স্থাপন করার মাধ্যমে পদ্মা সেতুর ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার মূল অবকাঠামো দৃশ্যমান হলো।

স্প্যান হচ্ছে ইস্পাতের মূল কাঠামো, যেগুলো এক পিলারের সঙ্গে আরেক পিলারের সংযোগ তৈরি করে। এরপর এসব স্প্যানের উপর গাড়ি ও রেল চলাচলের জন্য স্ল্যাব বসিয়ে উপযোগী করা হয়।

প্রথম স্প্যানটি বসানো হয়েছিল ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর। এসব স্প্যান চীনে তৈরি করে জাহাজে করে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়। পদ্মা সেতু নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কম্পানি জানিয়েছে, পদ্মা সেতু যান চলাচলের উপযোগী হতে ২০২২ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত লেগে যাবে। তবে বাংলাদেশের সরকার চেষ্টা করছে, স্বাধীনতার ৫০ তম বছরের মধ্যেই পদ্মা সেতু উদ্বোধন করার। অর্থাৎ সরকার ২০২১ সালের মধ্যে পদ্মা সেতুর কাজ সম্পন্ন করে যান চলাচল শুরু করতে চায়।

বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেছেন, আগামী এক বছরের মধ্যেই সেতুটি চালু হবে। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হতে ১০ মাস থেকে এক বছর লাগবে।

বার্তাকক্ষ, ১০ ডিসেম্বর,২০২০;

Share