প্রতিবছর বাংলাদেশে ৫৭ হাজার লোক তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের ফলে ক্যান্সার,স্ট্রোক,ব্লাড পেশার,হার্ট এটাক সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। দেশের সকল প্রকার যানবাহনে ধূমপান নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো -‘জয়ী হতে হলে তামাক ছাড়ুন।’ চাঁদপুরে করোনা পরিস্থিতে কোনো কর্মসূচি গ্রহণ করেনি কোনো সংগঠন ।
বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা আধূনিকের সভাপতি স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত ও বীরমুক্তিযোদ্ধা ডা.সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী ও সিনিয়র সহ-সভাপতি,সাবেক ছাত্রনেতা শাহজাহান চোকদার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ধূমপান যেহেতু অনেক রোগের কারণ সেহেতু ধূমপান ত্যাগ করাই শ্রেয়। আর বিড়ি-সিগারেট তৈরি প্রধান কাঁচামাল তামাক। সেই তামাক যদি মুক্ত করা যায় তো মানুষজন অনেক রোগ থেকে বেঁচে যাবে। বিশেষ করে করোনাকালে ধূমপান অনেকের মৃত্যুর কারণ।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে,প্রতিবছর সারা বিশ্বে ২০ লাখ মানুষ তামাক ব্যবহারের কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে। এ দেশের হৃদরোগজনিত মৃত্যুর ৩০ % জন্যেই দায়ি ধূমপান তথা তামাক ব্যবহার,যা খুবই আশংকাজনক।
প্রতিবছর ৩১ মে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালন করা হয়। দিবসটির উদ্দেশ্য তামাক ব্যবহারের ব্যাপক প্রাদুর্ভাব এবং স্বাস্থ্যের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাবের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে,প্রতিবছর বিশ্বব্যাপি প্রায় ৬০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয় তামাকপণ্য ব্যবহারের কারণে। এ ছাড়া ধূমপানের পরোক্ষ প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন আরও ছয় লাখ মানুষ। তামাকের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে জনসচেতনতা বাড়াতে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও সরকারিভাবে ৩১ মে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালন করা হয়।
তামাকের নিয়মিত ব্যবহার মানব স্বাস্থ্যে নানা ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। ১৯৫০ সালে বিজ্ঞানী রিসার্ড ডল ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে একটি গবেষণা প্রকাশ করেন; যেখানে তিনি ধূমপান ও ফুসফুস ক্যান্সার সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন।
১৯৫৪ সালে ব্রিটিশ ডক্টরস স্টাডি নামক আরেকটি গবেষণা প্রকাশ হয়। সেখানে ধূমপানের সঙ্গে ফুসফুস সম্পর্কের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয় এবং এর ওপর ভিত্তি করে সরকার ঘোষণা করে,ধূমপানের ফলে ফুসফুস ক্যান্সারের হার বৃদ্ধি পায়।
তামাকজাত দ্রব্য উৎপাদন ও বিপণনে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে এর দ্রব্যের ব্যবহার কমিয়ে আনতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
তাই মুদি দোকানের জন্য লাইসেন্স নিয়ে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি করতে পারে না। এ ক্ষেত্রে সুস্পষ্টভাবে আইনের লঙ্ঘন ঘটে। এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় যদি তার আওতাধীন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা প্রদান করে যে, তারা যে লাইসেন্সগুলো দিয়েছে তা সঠিকভাবে যেন তদারকি করা হয়। তাহলে তামাকজাত দ্রব্য যত্রতত্র বিক্রয় অনেকাংশে কমে আসবে।
দেশে তামাকের উচ্চ ব্যবহার এ ঝুঁকির মাত্রা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। তামাকের ভয়াবহতা ও ক্ষতিকারক বিষয়ে সহচেতনতার বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতি বছর বিশ্ব তামাক দিবস পালিত হচ্ছে।
আবদুল গনি, ৩১ মে ২০২১
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur