শেখ রাসেল দিবসে ৩শ ‘স্কুল অব ফিউচার‘ উদ্বোধন ১৮ অক্টোবর

শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের আয়োজনে শুক্রবার থেকে শুরু হলো মাসব্যাপি সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা।

বিকেলে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল হলে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে গত বছরের পাশাপাশি এবারের বিজয়ী প্রত্যেককে সহ জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের জেলা কমিটির সংগঠকদের একটি করে ল্যাপটপ উপহার দেয়ার ঘোষণা দেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন,‘ ১৩ বছরে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে দেশ অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করেছে। বিভিন্ন অনলাইন মার্কেট প্লেসে কাজ করে দেশের সাগে ৬ লাখ ফ্রিল্যান্সার ল্যাপটপ আর ইন্টারনেট ব্যবহার করে ঘরে বসে ইউরো-ডলারে আয় করার সুযোগ পাচ্ছে। এর পেছনে রয়েছে ৬৪টি শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেশন সেন্টার,১৩ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব।’

এ বছর আরো নতুন করে ৫ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব এবং ৩শ শেখ রাসেল স্কুল অব ফিউচার আগামি ১৮ অক্টোবর শেখ রাসেল জাতীয় দিবসে উদ্বোধন করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।

জাতীয় উন্নয়ন বিকেন্দ্রীকরণের জন্য তরুণদের প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত করে আত্মকর্মসংস্থান গড়ে তুলতে ৬৪টি জেলা সহ ৪৯৬টি উপজেলায় ৫৫৫টি জয় ডিজিটাল সার্ভিস অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট সেন্টার স্থাপন করা হবে।

এর ফলে দেশের কোটি কোটি শিক্ষার্থী শ্রম নির্ভরতা বা বিদেশ নির্ভর না হয়ে যার যার ঘরে বসে মর্যাদাপূর্ণ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবেন। এর মাধ্যমে ২০৪১ সাল নাগাদ প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত টেকসই, সাশ্রয়ী, উদ্ভাবনী,জ্ঞানভিত্তিক, উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো ইনশাআল্লাহ।

‘আজকে যারা শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের সদস্যরাই’সেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন পলক। দেশের আর্থিক সমৃদ্ধিকে টেকসই করতে একটি সাংস্কৃতিক আন্দোলনের তাগিদ দিয়ে প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন,‘রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি টেকসই করতে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের আগামি সদস্যদেরই এ নেতৃত্ব দিতে হবে।’

শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের মহাসচিব কে এম শহীদ উল্যা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ রতন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্সাল মো.মফিদুর রহমান।

অন্যান্যের মধ্যে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন পরিষদের ঢাকা মহানগর উপদেষ্টা নাজমুল হক,কেন্দ্রিয় উপদেষ্টা তরফদার মো.রুহুল আমিন ও চৌধুরী নাফিস সারাফাত।

ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন রনির সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা পরিচালন করেন শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের সাংস্কৃতিক সম্পাদক তানভীর আহমেদ লোটন।

বিভিন্ন বিভাগে রবিন্দ্র সঙ্গীত,নজরুল সঙ্গীত, আবৃত্তি ও নৃত্য এ চার ক্যাটাগরিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ প্রতিযোগিতা।

এদিকে শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাবে ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করে প্রতি স্কুলে ৩২ জন শিক্ষার্থীকে ল্যাবে উপস্থিতি ও ৩শ শেখ রাসেল স্কুল অব ফিউচার ল্যাবের সামনে ঊদ্বোধনী ফলক এবং স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড স্থাপনের নিদের্শনা দেয়া হয়েছে ।

১২ অক্টোবর ২০২২
এজি

Share