চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর আলী ভিলা মিলনায়তনে মতলবের যুবসমাজের আইকন যার মুল বক্তব্য ছিলো ’’মতলবের প্রতিটি গ্রাম হকে শহর’’ ও তরুন প্রজন্মের অংকার মতলবের প্রতিটি মানুষের প্রিয় মুখ, মুকুটহীন সম্্রাট প্রয়াত সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপুর স্মৃতি মুখ সেই ম্যুরাল উদ্বোধন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাতে চাঁদপুর -২ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম এর শুভ উদ্বোধন করেন। এসময় মতলবের প্রতিটি মানুষের প্রিয় মুখ প্রয়াত সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপুর স্মৃতি মুখ সেই ম্যুরাল এর স্বপ্ন দ্রষ্টা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য আশফাক চৌধুরী মাহি, চাঁদপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহবায়ক ও প্রয়াত দিপু চৌধুরীর সহধর্মিনী মিসেস সুবর্ণা চৌধুরী বীণা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় চাঁদপুর -২ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম বলেন, আমার অত্যান্ত আদরের সন্তান দিপু চৌধুরীর স্বপ্ন ছিলো এই মতলবের প্রতিটি ঘর হবে শহর। সে সর্বদা মতলবের মানুষের উন্নয়নের কথা চিন্তা করতো। প্রতিনিয়ত আমাকে এই মতলবের উন্নয়ন ও সর্বসাধারণের সার্বিক কল্যানের কাজের জন্য বলতো। এই মতলবের প্রতিটি ঘরে ঘরে তার হাজার হাজার নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্খী প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন। এই মতলব প্রয়াত দিপু চৌধুরীর সাজানো বাগান। দিপু তিলে তিলে অনেক অর্থ,মেধা,শ্রম ও নিজের যোগ্যতা, ভালোবাসা দিয়ে সেটা সে অর্জন করেছে। আমার নির্বাচনে জয় লাভ শতকরা ৯৫ ভাগ অবদান আমার ছেলে প্রয়াত দিপু চৌধুরীর। তার মৃত্যুকে শক্তিতে পরিণত করে দিপু চৌধুরীর নেতাকর্মীরা জীবন বাজি রেখে নির্বাচনে কাজ করেছে।
মায়া চৌধুরী তিনি আরও বলেন, আজকে আমরা প্রয়াত দিপু চৌধুরীর মৃত্যুতে আমি এবং আমার পুরো পরিবার গভীরভাবে শোকাহত। তার মৃত্যুতে দল একজন নিবেদিত প্রাণ হারিয়েছি। আজকে অঅমার ছেলে নেতাকর্মীদের প্রিয় সে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে আওয়ামী লীগের একজন নিবেদিত কর্মী ছিলেন। মানুষের বিপদে-আপদে দলমত নির্বিশেষে সবসময় তাকে কাছে পাওয়া যেত। দিপু ভাইয়ের মৃত্যুতে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে তা সহজে পূরণ হবার নয়। আজকে আমি তা উপলব্দি করছি। আমার সন্তান এই মতলবের প্রতিটি গ্রাম হবে শহর তার এই স্বপ্নকে আমি বাস্তবায়ন করবো ইনশাল্লাহ।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এর কাছে আমি আমার প্রয়াত ছেলে এই কর্মবীর, সমাজকর্মী, রাজনীতিককে তার সৎ ও পূণ্য কর্মের জন্য পুরস্কৃত করবেন এই প্রার্থনা করি। আমি আমার ছেলে প্রয়াত দিপু বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় সকলের কাছে দোয়া কামনা করছি। আজকে আমার আদরের কলিজার টুকরা সন্তান প্রয়াত দিপু চৌধুরীর ম্যুরাল নির্মাণে বাস্তবায়নে চাঁদপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহবায়ক ও প্রয়াত দিপু চৌধুরীর সহধর্মিনী মিসেস সুবর্ণা চৌধুরী বীণা,আমার ছেলে প্রয়াত দিপু চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ পুত্র বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য আশফাক চৌধুরী মাহি, দিপু চৌধুরীর ছোট ছেলে রাহি চৌধুরী ও দিপুর কন্যা জারা চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানাই। তারা এই ম্যুরালটি নির্মাণে অসামান্য অবদান রেখেছেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, জহিরাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ গাজী মুক্তার হোসেন, কলাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান আঃ সোবহান সরকার সুভা, আওয়ামী লীগ নেতা বোরহান চৌধুরী, ছেংগারচর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আতাউর রহমান ঢালী, ষাটনল ইউনিয়ন পরিষদ এর সাবেক চেয়ারম্যান একেএম শরীফ উল্লাহ সরকার, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ কাজী শরীফ হোসেন, উপজেলা যুবলীগের সদস্য হাসান মোরশেদ আহার চৌধুরী, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য রিয়াজুল হাসান রিয়াজ,উপজেলা মহিলা আওয়ামী রীগের সাধারণ সম্পাদক লাভলী চৌধুরী, আওয়ামী লীগের উপকমিটির সদস্য আহসান উল্লাহ হাসান, শাহ আলম সিদ্দিকী, মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল হাই প্রধান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রাদেশ্যাম সাহা চান্দু, মোঃ রিপন চৌধুরী, উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক সিরাজুল ইসলাম ডাবলু, সংসদ সদস্য মায়া চৌধুরীর একান্ত সচিব কামরুল হাসান মামুন, মোসাদ্দেক হাওলাদার মামুন, উপজেলা মৎস্য জীবিলীগের সভাপতি নাইমুল হাসান লাভলু, উপজেলা ছাত্র লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক , রহমত উল্লাহ সরকার লিখন, এসএম নোমান দেওয়ান, মেহেদী হাসান কাজল, উপজেলা ছাত্র লীগের ১ নাম্বার সদস্য সদরুল আমিন, সদস্য জোবায়ের আহম্মেদ জনি,দূর্গাপুর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা ইউসুফ জামিল, প্রমূখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ৫ এপ্রিল ২০২৪