যুবলীগের সপ্তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সন্ত্রাসী-জঙ্গি-মাদক ব্যবসায়ী যে-ই হোক, কাউকে ছাড় দেব না।’
সন্ত্রাস ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে নিজের দৃঢ় অবস্থান তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দিনরাত পরিশ্রম করছি দেশের উন্নয়নের জন্য। এটা বাধাগ্রস্ত করতে চাইলে ছাড় দেওয়া হবে না।’
২৪ নভেম্বর শনিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুবলীগের ত্রিবার্ষিক জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং কবুতর ও বেলুন উড়িয়ে যুবলীগের এ সম্মেলন উদ্বোধন করেন যুবলীগের সাংগঠনিক নেত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
সংগঠনের কিছু নেতার বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে সমালোচনার মুখে পড়া যুবলীগের নতুন যাত্রার দিন আজ। ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের চ্যালেঞ্জ নিয়ে আজ শুরু হলো এ সম্মেলন।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষ হওয়ার পর বেলা তিনটায় দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হবে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সম্মেলন উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। সারা দেশ থেকে যুবলীগের হাজার হাজার নেতা-কর্মী সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে আশপাশের এলাকা। যুবলীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী সম্মেলনে আসেননি। তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে সাংগঠনিক সূত্রে জানা গেছে।
নেতা-কর্মীরা ধারণা করছেন, দুর্নীতি ও ক্যাসিনো কর্মকাণ্ডে সমালোচনায় পড়া যুবলীগে এবার অপেক্ষাকৃত স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কাউকে সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বে আনা হতে পারে। তবে এবার বয়সসীমা ৫৫ বছর বেঁধে দেওয়ায় সর্বশেষ কমিটির অধিকাংশ নেতার সামনে নতুন কমিটিতে আসার সুযোগ থাকছে না।
সারা দেশের ৭৭টি সাংগঠনিক জেলা থেকে ২৮ হাজারেরও বেশি কাউন্সিলর যুবলীগের এই ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন।
১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ গঠন করেন শেখ ফজলুল হক মণি।