Home / সারাদেশ / দিগছাইলে জোরপূর্বক ইমারত নির্মাণের অভিযোগ
ইমারত

দিগছাইলে জোরপূর্বক ইমারত নির্মাণের অভিযোগ

হাজীগঞ্জের ৬নং বড়কূল পূর্ব ইউনিয়নের দিগছাইল গ্রামে বসতবাড়ির উঠানে জোরপূর্বক জামাত নেতার বিরুদ্ধে ইমারত নির্মানের অভিযোগ উঠেছে। এতে করে দিগছাইল আটিয়া বাড়ির প্রায় ১৫ পরিবার জিম্মি থাকার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

জানা যায়, দিগছাইল আটিয়া বাড়ির প্রধান চলাচলের পথে উঠানের উপর একই বাড়ীর আমিন গোলাম কিবরিয়া ও তার ছেলে আল- আমিন, ফয়শাল ও মারুফ জোরপূর্বক বিল্লিং এর কাজ শুরু করে। এতে কচুয়া থেকে কিবরিয়া সমত ভাই সাফায়ত হোসেন মূল লিড দিয়ে জোরপূর্বক কাজ আদায়ের নেতৃত্ব দেন। বর্তমানে জামায়াত নেতার কাছে জিম্মি পুরো বাড়ীর লোকজন।

আটিয়া বাড়ির বাসিন্ধা আবুল বাসার, হাবিবুর রহমান, রাসেদ, আয়শা, খাদিজা, স্কুল শিক্ষার্থী আসমা ও শরিফ অভিযোগ করে বলেন, বাড়ীর বসবাসরত ১৫ টি পরিবার একক আর আমিন কিবরিয়া একক ভাবে তার ছেলেদের ও সমত ভাইকে নিয়ে জোরপূর্বক ক্ষমতার অপব্যবহার দেখাচ্ছে। তিনি একজন জামাত নেতা হয়ে আমিনতি করে সু-কৌশলে জোরপূর্বক বাড়ীর উঠানে ৫ তলা ইমারত নির্মানের চেষ্টা করছে।

অক্টোবর মাসের ৪ ও ১০ তারিখে দুইবার শালিস বৈঠক বসে। সর্বশেষ বৈঠক না মেনে গত ২৭ অক্টোবর পুরো বাড়ীর মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। এখন পুলিশ রাত বিয়ালি বাড়ীতে আসে আর আমরা আতংঙ্কের মাঝে বসবাস করে আসছি।

এলাকার বাসিন্ধা ও শালিসদার ইসমাঈল আখন্দ বলেন, কিবরিয়া আমিন বৈঠকের সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তার শালা সাফায়েতেরর নেতৃত্বে মারামারির কার্যকালাপ চালায়। সে আমিনতি করে পুরো বাড়ীর মানুষকে জিম্মি করে কৌশলে জায়গা হাতিয়ে নেয়। তার জন্য আমাদের আখন্দ বাড়ীসহ পুরো গ্রামে জমিজমা বিরোধ সৃষ্টি করে রেখেছে।

৯ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, বৈঠকে শালিসদারের মাধ্যমে এক হয়ে মাপ জরিপের মাধ্যমে সমাধান হওয়ার সিদ্বান্ত হয়। কিন্তু আমিন কিবরিয়া কৌসলে মিথ্যা কাগজ উর্থাপন করে কাজ ধরলে গত ১৮ অক্টোবর বাড়ীর লোকজন তাতে বাধাঁ দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে হট্রোগল সৃষ্টি হয়।

আমিন কিবরিয়া বলেন, আমার জায়গায় ইমারতের কাজ ধরলে তারা সেখানে বাধাঁ প্রদান করে, যে কারনে আমি মামলা করেছি।

স্টাফ করেসপন্ডেট