ফিচার

দায়িত্ব পালন কালে দেখা রোহিংগাদের দিনকাল

আমি কুতুপালং রোহিংগা ক্যাম্পে দায়িত্ব পালন কালে কাছ থেকে দেখা রোহিংগাদের কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণ, বাস্তব পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিংগাদের প্রভাবে আমাদের কি ধরনের প্রতিকুল অবস্থা মোকাবেলা করতে হবে তার কিছু ঘটনা তুলে ধরার চেষ্টা সহ কিভাবে উদ্ভুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবেলা করে উওরণ করা যায়,তার কিছু উপায় তুলে ধরলাম।

আশা করি, পাঠকরা আমার সাথে সহমত প্রকাশ করবেন। দ্বিমত ও করে প্রশ্ন করতে পারেন বা লেখার কোনো অংশ বিরোধিতা করে প্রশ্ন থাকলেও করতে পারেন আমি উওর দিব। রোহিংগাদের আগমনে বিপর্যিত বাংলাদেশ!
রক্ষায় করণীয়

মিয়ানমারে রোহিংগা মুক্ত আরাকান গড়তে রাষ্ট্রীয় মদদে, হত্যা,ধর্ষণ, নির্যাতন করে আসছে বহু বছর থেকে। তাদের নির্যাতনের মূল লক্ষ্য রোহিংগারা যেন বাংলাদেশে চলে আসে। তাদের স্বপ্নের ৭০% বাস্তবায়িত হল ২০১৭ সালে এসে। মুক্ত মিয়ানমার বিপর্যয়ে বাংলা। সরকারি হিসাব মতে ১০ লাখ হলেও নিবন্ধিত অনিবন্ধিত মিলিয়ে বাস্তবে কমপক্ষে ১৫ লাখ রোহিংগা বোঝা এখন বাংলাদেশের ঘাড়ে। এর বৃহৎ অংশ হল উখিয়া কুতুপালং ক্যাম্পে।

রোহিংগার ভারে বেসামাল বাংলা
দেশের ক্ষতি হবে চিন্তা করার পরও প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হ্রদয়ে। তিনি প্রকৃতপক্ষে একজন মহামানব। অন্যের উপকার করতে গেলে নিজের ক্ষতি হয় এটাই ইতিহাস। এটাকে অনেকে ভিন্ন ভাবে বিশ্লেষণ করতে চান। ভাল কে ভাল বলতে শিখুন, মন্দ কাজটার সমালোচনা করুন দেখবেন তাহলে আপনার ভালো কাজটাও স্বিকৃতি পাবে। বাংলাদেশের এ বিশাল মানবতা বিশ্বে প্রসংশিত । আগামীতে মানবিকতায় বাংলাদেশ উদাহরণ হয়ে থাকবে।

রোহিংগাদের আগমনে বাংলাদেশে বিরূপ প্রভাব
রোহিংগাদের আগমনে তাদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে গিয়ে আমাদের সৃজিত বিশাল পাহাড়ী বনভুমির গাছ কাটা, সহ পাহাড় কেটে বাসস্থান ও রাস্তা নির্মাণ করা হয় ।যার ফলে কক্সবাজার এলাকা মারাত্মক পরিব্শে বিপর্যয়ের সম্মুখীন। রোহিংগারা বিচিছন্নভাবে বিভিন্ন নিরাপদ পথে বাংলাদেশে প্রবেশ করাকালীন প্রত্যেক রোহিংগাই কমপক্ষে একলাখ থেকে ১০ লাখ ইয়াবা নিয়ে প্রবেশ করেছে। একই সাথে অনেক রোহিংগা অস্ত্র সহ প্রবেশ করেছে যা তাদের বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ডে অংশগ্রহণসহ বিভিন্ন ঘটনায় প্রদর্শিত অস্ত্র দেখে প্রতিয়মান।

রোহিংগারা যে পরিমাণ ইয়াবা নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে তা দিয়ে বাংলাদেশের একবছরের ইয়াবার চাহিদা মেটানো যাবে বলে বিভিন্ন তথ্য সূএে প্রমাণ পাওয়া যায়। বর্তমানে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা আসার ঘটনা খুবই যৎসামান্য। আনিত ইয়াবা বেশিরভাগই তারা মাটির নীচে গর্ত করে রেখেছে বলে জানা যায়।

প্রত্যেক রোহিংগা পরিবারে কমপক্ষে ৫ থেকে তদুর্ধ ১৫ জন পর্যন্ত ছেলে মেয়ে আছে। যাদের বয়স ১ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত। তান্মধ্যে ৩ লাখের মত যুবক যুবতী, ৩ লাখের অধিক শিশু যাদের বয়স ১ থেকে ১৩ বছর পর্যন্ত। বাস্তব অবস্হায় লক্ষণীয় যে রোহিংগা নারীরা একটি সন্তান জন্মের পর ৪৫ দিনের বিরতির যে সময়টা তাও তারা হিসাবে রাখেনা। একই মায়ের প্রত্যেকটি শিশুর বয়সের পার্থক্য ৮ ,৯ বা ১০ মাসের বেশি নয়।

আগামী দিনে রোহিংগাদের জনসংখ্যার একটি পরিসংখ্যান
আমার সরেজমিনে অভিজ্ঞতার আলোকে প্রতিয়মান হয়, যদি রোহিংগারা আমাদের দেশে ১০ বছর অবস্থান করে । তাহলে তাহলে ১০ বছরে কমপক্ষে প্রত্যেকের ৫ টি করে সন্তান হবে। তাহলে ১ লাখ ৫০ হাজার গুণ ৫ =৭ লাখ ৫০ পঞ্চাশ হাজার) ১২ থেকে ১৫ বছরের যে বালক বালিকা আছে তারা ৫ বছর পর বিবাহ করিতে শুরুকরিবে। তাহলে তাদের ৩ লাখের মধ্যে কমপক্ষে ৫০ হাজার আগামী ৫ বছর পর বিয়ে করলে তাদের ঘরে ৪ জন করে সন্তান জন্ম নিলে আগামী ১০ বছরে কমপক্ষে ৫০০০০ গুণ ৪ = দু লাখ শিশু জন্ম নিবে। আগতদের মধ্যে অবশিষ্ঠ ৬ লাখ বিবাহিত তাদের মধ্যে বাচচা জন্ম দেয়ায় সক্ষম আছে কমপক্ষে ৪ লাখ। যদি তাহারা পূর্বের ধারাবাহিকতা বজায় রাখে তাহলে আগামী ৫ বছরে প্রত্যেকে আরো নূন্যতম ৩ টি করে সন্তান জন্ম দিবে। তাহলে ১০ বছর পর আমাদের কে ৩৫ লাখ রোহিংগার বোঝা বহন করতে হবে।আশংকার বিষয় হল বর্তমানে টেকনাফ, উখিয়ায় স্থায়ী জনসংখ্যা সর্বসাকুল্যে ৬ লাখ বা তার কম। তাহলে ভবিষ্যৎ এ কি হবে সে ভয়ংকর কথাটি আমি নাইবা বললাম।

আইনশৃংখলার অবনতি
রোহিংগারা এখনই বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে।যেমন হােন্ডা চুরি, ডাকাতি, ঘর চুরি, বাগান থেকে সুপারি,নারিকেল বিভিন্ন ফল চুরি, ভাড়াটিয়া হিসাবে অপরাধে অংশগ্রহণ, নিজেদের মধ্যে খুন, স্থানীয় লোকদের সাথে বিরোধে জড়ানো,অস্ত্র ভাড়া দেয়া। অন্যদিকে অরক্ষিত রোহিংগা ক্যাম্পে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা, এনজিও, আরাকান বিদ্রোহীদের অবাধে প্রবেশের রাস্তা থাকায় নিযন্ত্রণহীন ভাবে নির্ধারিত পথে গমনা গমন না করে অন্য পথে প্রবেশ করে রোহিংগাদের ধর্মান্তরিত করা, জংগি বানানোর মদদ,বিদ্রোহি গ্রুপ তৈরি, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নাশকতায় অংশগ্রহণ সহ আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাদের বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার ও অংশগ্রহণ করানোর লক্ষ্যে এখন থেকে কাজ শুরু করেছে। অপরদিকে বিদ্রোহী গ্রুপ ভেতরে প্রবেশ করে দায়িত্ব প্রাপ্ত রোহিংগা চেয়ারম্যান, হেড মাঝি, মাঝিদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে তাদের মতবাদ বাস্তবায়নে বাধ্য করছে ।

অনেকেই দ্বিমত করায় অপহরণ সহ বিভিন্ন ঘটনার সম্মুখীণ হচ্ছে। সব মিলিয়ে ভয়ংকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশ। অরক্ষিত হওয়ায় রোহিংগারা ইচ্ছে মত যএতএ আসা যাওয়া করার সুযোগ পাচ্ছে।তাদের ক্যাম্পের বাহিরে গমনাগমন ঠেকাতে যদি ও বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করা হয় মূলত তা অকার্যকর। কারণ তারা যাতাযাতকালীন চেকপোস্ট পরিহার করার লক্ষ্যে চেকপোস্টের পূর্বে গ্রাম্য ছোট রাস্তা গুলো ব্যবহার করছে। আবার অনেকেই ভুয়া জাতীয় পরিচয় পএ সংগ্রহ, স্থানীয় দালালরা নিজের স্ত্রী পরিচয়ে, রোহিংগাদের নিয়ে কাজ করা অনেক সংস্হার অসাধু কর্মকর্তারা তাদের স্টাফ পরিচয়ে গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে।

এভাবে বিভিন্ন পন্হায় তারা সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাচেছ।অনেকে তাদেরকে স্হানীয় দালালদের মাধ্যমে পুরুষ রোহিংগাদের কাজের জন্য, মেয়েদের গৃহকর্মি হিসাবে, বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যাচেছ। অনেক দালাল টাকার লোভে সুন্দরি, যুবতি মেয়েদের কক্সবাজার সহ ঢাকা, চট্রগ্রাম দেশের বিভিন্ন হোটেলে পাচার করছে। আবার অনেকেই সুন্দরি রোহিংগা মেয়েদের বিয়ে করে ও নিয়ে যাচেছ। যার ফলে আমাদের অনেকের পরিবারে অশান্তি বিরাজ করছে। যারা এখনও বিয়ে করা থেকে বিরত আছেন। তাদের স্ত্রীরা কঠিন শংকায় দিনাতিপাত করছে, না জানি তার ম্বামী কখন রোহিংগা যুবতীর দিকে নজর পড়ে। তবে বেশি শংকিত যারা রোহিংগাদের নিয়ে কাজ করে তাদের স্ত্রীরা। এ কারণে বাংলাদেশে পারিবারিক অশান্তি বিরাজমান সহ এইডসে আক্রান্তের ঝুকিতে বাংলাদেশ।
অর্থনীতির উপর প্রভাব

বিশাল রোহিঙ্গাদের বাসস্হানের ব্যবস্হায় বাঁশের বিশাল চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে আমাদের তিন পার্বত্য জেলা থেকে বাঁশ সরবরাহ করতে হচেছ। যাহার ফলে পরিবেশের ক্ষতি সহ বাঁশের সংকট দেখা দেয়ায় মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে।

রোহিংগাদের দৈনন্দিন চাহিদা মিটাতে তরিতরকারি সহ চাল, ডাল, মাছ, কুমিল্লা, সীতাকুন্ড, মিরসরাই থেকে সরবরাহ করা হচেছ। আগে যা ঢাকা সরবরাহ করা হত। যার ফলে ঢাকা সরবরাহ কমে যাওয়ায় স্বাভাবিক ভাবে মূল্যবৃদ্ধি পাচ্ছে।একই ভাবে টেকনাফ উখিয়ায় দ্রব্য মূল্য দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়। আগে যে বাসা ২ হাজার টাকা ছিল বর্তমানে তা ১৫ হাজার টাকা তারপর ও পাওয়া যাচেছনা। এনজিও গুলোকে এক-দেড়লাখ টাকা দিয়ে বাড়ি ভাড়া দিয়ে তারা চট্রগ্রাম গিয়ে ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে থাকছেন। আবার সরকারি চাকুরিজীবী যারা এখানে রোহিংগা আসার আগে বাসা ভাড়া নিয়ে ছিলেন বাড়ির মালিক কাজ করবেন অথবা অন্য অজুহাতে তাদের বাসা ছাড়তে বাধ্য করছেন। । কারণ বাসাটা ছাড়লে তিনি ৫ গুণ বেশি টাকায় ভাড়া দিতে পারবেন। বিশেষ করে উখিয়ার সরকারি চাকুরিজীবীদের নাভিশ্বাস। বেতনের টাকা দিয়ে একজন চলাও এখন দায়।

পরিস্তিতি মোকাবেলায় ও রোহিঙ্গাদের শৃংখলায় করণীয়
যদি ও আমরা জানি রোহিংগাদের জন্য ভাসান চর প্রস্তত করা হচেছ। কিন্তু যতটুকু ধারণা সেটা আরো সময়ের ব্যাপার এবং মিয়ানমারে ফেরৎ পাঠানোর অপেক্ষায় বিলম্বিত হবে। কিন্ত এ সময় ক্ষতি যা হওয়ার অনেকটাই হয়ে যাবে। রোহিংগাদের ক্যাম্প গুলোকে নিরাপদ এবং তাদের কে অপরাধ থেকে দুরে রাখতে প্রথম করণীয় হল মোটা তারের নেট দিয়ে রোহিংগা ক্যাম্পের চারিদকে বেস্টনি তৈরি করতে হবে। বেস্টনী তৈরির পর চাহিদা মোতাবেক প্রবেশদ্বার থাকবে। প্রবেশদ্বারে পুলিশ সেনাবাহিনী যৌথ ভাবে দায়িত্ব পালন করবে। তাহলে স্বচছতা নিশ্চিত হবে। কোনো রোহিংগা যুক্তিসংগত কারণ ব্যতীত বাহিরে যেতে পারবেনা। গেলে তার ফেরত আসা নিশ্চয়তা বিধান থাকবে।কারণ গেইটে তার নাম এন্ট্রি থাকবে।এ ব্যবস্হার ফলে ভেতরে দালাল, অপরাধী, বাহিরের কোনো বিদ্রোহী গ্রুপ, অনুমতি ছাড়া বিদেশি নাগরিক, ইয়াবা বিক্রয় অস্ত্রের ব্যবহার ভাড়া, রোহিংগারা অপরাধ কর্মে অংশ নেয়াসহ এক কথায় ৮০% অপরাধ নিযন্ত্রণ সহ রোহিংগাদের একটা সু-শৃংখল পরিবেশে আনা অতি সহজ কাজ হবে।

অনেকেই হয়ত মনে করতে পারেন রোহিংগারা নিজ দেশে ফেরত চলে যাবে না হয় তাদের ভাসান চরে পাঠানো হবে। কিন্ত পাঠাতে পাঠাতে যে ক্ষতি হবে তা পুরণ হওয়া সম্ভব না।বৃহৎ আকারে রোহিংগার অবস্হান কুতুপালং ক্যাম্প আমার ধারনা মতে এ ক্যাম্পের বেষ্টনি এরিয়া সর্বোচছ ২০ কি.মি. হবে। আর এ ২০ কি.মি. নেটের বেস্টনি করতে আমার ধারণা মতে ১৫ কোটি টাকা লাগতে পারে। সব ক্যাম্প মিলিয়ে ২৫ কোটি টাকার বেশি নয়। কিন্ত না করলে হাজার কোটি টাকা ক্ষতি সহ রোহিংগারা সারা বাংলাদেশে বিস্তৃতি লাভ করে,পারিবারিক,সামাজিক,সংস্কৃতি,সব কিছুতেই বিরুপ প্রভাব ফেলবে।রোহিংগাদের নিয়ে যে এনজিও গুলো কাজ করে তাদের সংখ্যা প্রায় ১ শ’ হবে।

তারা তাদের কার্যক্রমকে নির্বিঘ্ন করতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, ব্যাক্তিকে যে পরিমাণ সুযোগ সুবিধা দেয় তাতে প্রতিয়মান যে সরকার এ বিষয়ে চাইলে প্রতি এনজিও এক কোটি টাকা করে দেয়া তাদের জন্য কোনো বিষয় নয়।কারণ এ কাজটা ও রোহিংগাদের রক্ষায় বড় অবদান রাখবে। বেষ্টনির পর রোহিংগারা ফেরৎ কিংবা ভাসান চরে গেলেও পুনরায় এ জায়গায় গাছ লাগালে এ বেস্টনি গাছ রক্ষার কাজে ও অনেক বড় অবদান রাখবে।

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ
রোহিংগাদের যাদের ৩ টি সস্তানি আছে, তাদের প্রত্যেক নারী -পুরুষ কে পরিবার পরিকল্পনা স্থায়ী পদ্ধতি গ্রহণ, অন্যরা যাতে ২ টির অধিক সন্তান নিতে না পারে যে কোনো ভাবে তা পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণে উদ্ভুদ্ধ করে জনবিস্ফোরণ রোধ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে ।

রোহিংগাদের যত দ্রুত আন্তর্জাতিক ভাবে দেন দরবার করে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো খুবই জরুরি। ফেরৎ যাওয়া রোহিংগাদের নিরাপওার নিশ্চয়তা বিধান কল্পে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্হার নিয়োজিত সদস্যরা নিরাপওা বিঘœ ঘটে কিনা তা মনিটরিং করার জন্য তথায় অবস্হান করবে। অন্যথায় দ্রুত ভাসান চরে স্হানান্তর করে তাদের কৃষিতে নিয়োজিত করে তাদের চাহিদা পূরণে খাদ্যসহ নানা বিধ পণ্য উৎপাদনে সহায়ক কাজে তাদের নিয়োজিত করা।

লেখক : খন্দকার ইসমাইল
উপ-পরিদর্শক, বাংলাদেশ পুলিশ

Share