আপনি সাম্প্রতি বিয়ে করেছেন। এবিষয়টি নিয়ে বন্ধু মহলে হইহুল্লো হতেই পারে। হয়ত এমন বন্ধু রয়েছে যে কিনা আপনার বিয়ে পরবর্তি সময়কার ঘটনা সমূহ জানতে চায়। কির করবেন তখন আপনি ?
বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে অনেক কিছু নিয়েই কথা বলে থাকেন। অনেক কিছুই শেয়ার করি। বিশেষ করে খুব ভালো বন্ধু অর্থাৎ বেষ্ট ফ্রেন্ড হলে জীবনের বেশীরভাগ জিনিস নিয়েই আলোচনা করা হয়ে যায়। কিন্তু বিয়ের পর দাম্পত্য জীবনে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গেই জীবনটা একটু অন্যরকম হয়ে যায়। তখন কিছু ব্যাপারে একটু বুঝে শুনে কথা বলাই ভালো সবার সামনে, এমনকি সবচাইতে কাছের ভালো বন্ধুটির সঙ্গেও নিজের দাম্পত্যজীবনের কিছু কথা শেয়ার না করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
১) ঘরোয়া খরচা ও অর্থনৈতিক বিষয় : আপনার সংসার জীবনে কোন ক্ষেত্রে কতটা খরচ হচ্ছে বা আপনার বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা কী ধরণের তা নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে আলাপ না করাই ভালো, যদি না আপনি খুব বেশি বিপদে পড়েন এবং আপনার আর্থিক সাহায্য চাইতে হয়। ঘরের কথা পরে না জানলেও চলবে।
২) কে সংসারের খরচ বহন করেন? : বন্ধুবান্ধবের কাছে বড় গলায় বলার প্রয়োজন নেই আপনি সংসারের কতটা খরচ সামাল দিচ্ছেন কি দিচ্ছেন না। কারণ এতে আপনার এবং আপনার সঙ্গীর আত্মমর্যাদা যুক্ত থাকে। সঙ্গীর কানে কথাটি গেলে তার মানসিক অবস্থা খারাপ হতে পারে।
৩) শ্বশুরবাড়ির মানুষের সঙ্গে সম্পর্কের অবস্থা : সম্পর্ক যেমনই হোক না কেন আপনার শ্বশুরবাড়ির মানুষের সঙ্গে তা আপনার সবচাইতে কাছের বন্ধুটির সঙ্গেও শেয়ার করার প্রয়োজন নেই। আপনি খারাপ ভাবে কোনও মন্তব্য না করলেও আপনার বলা কথাগুলো আপনার বিপরীতে যেতেই পারে। তাই অযথা ঝামেলা বাড়াবেন না।
৪) আপনার সঙ্গীর চারিত্রিক বিষয়: আপনি নিজের সঙ্গী সম্পর্কে যাই ভাবুন না কেন তা ভুলেও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে শেয়ার করতে যাবেন না। হতে পারে আপনার বন্ধু নয় আপনার কথাগুলোর সুযোগ নিয়ে তৃতীয় কোনও পক্ষ আপনার ক্ষতি করে ফেলতে পারে।
৫) সাংসারিক জীবনের গোপন বিষয় : অনেকেই গোপন বিষয়গুলি গোপন রাখেন না, বন্ধুদের সঙ্গে মজা করেই শেয়ার করে ফেলেন৷ যা আপনার নিচু মানসিকতার পরিচয় প্রকাশ করে। এই কাজটি করবেন না। নিজের ও সঙ্গীর সম্মান বজায় রাখুন।
|| আপডেট: ০৮:৩১ অপরাহ্ন, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫, শুক্রবার,চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/ এমআরআর/২০১৫