স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলোকে জাতীয়করণসহ সাত দফা দাবিতে ১৫ দিনের মতো অবস্থান ধর্মঘট পালন করছে বাংলাদেশ স্বতন্ত্র মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতি।
রোববার কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করলে কদম ফোয়ারার কাছে পুলিশের ব্যারিকেডে আটকা পড়ে।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি কাজী ফয়েজুর রহমান বলেন, ‘গত ২০১৮ সালে আমাদের ধর্মঘট ও অনশনচলাকালে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সচিব আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু আজও তা বাস্তবায়ন হয়নি। জাতীয়করণের দাবিতে চলতি মাস থেকে টানা ১৫তম দিন ধরে আমাদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অন্যদিনের মতো আজও আমাদের শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি শুরু হয়। পূর্ব-নির্ধারতি কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা করে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা। তবে পুলিশ আমাদের আটকে দেয়।’
তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-কোডবিহীন মাদ্রাসাগুলো বোর্ড কর্তৃক কোড নম্বরে অন্তর্ভুক্তকরণ, স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা নীতিমালা-২০১৮ সংশোধন করে আলিম শিক্ষক একজনের পরিবর্তে এইচএসসি পাস একজনের অন্তর্ভুক্তকরণ, প্রাইমারীর ন্যায় স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসায় অফিস সহায়ক নিয়োগ, মাদ্রাসার শিক্ষকদেরকে পিটিআই ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থাকরণ, ইবতেদায়ি মাদ্রাসায় আসবাবপত্রসহ ভবন নির্মাণ ও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার স্থায়ী রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থাকরণ।
অবস্থান ধর্মঘটে অংশ নেয়া পটুয়াখালী জেলার মাদ্রাসা শিক্ষক মো. ফুরকান বলেন, ‘চলমান বৈশ্বিক করোনাভাইরাসের প্রভাবে সারাদেশের বেতন বঞ্চিত মাদ্রাসা শিক্ষকরা মানবেতর জীবনযাপন করছে। চাকরি আছে অথচ আমাদের বেতন নেই। তাই জাতীয়করণের দাবিতে মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে অবস্থান কর্মসূচি চলছে। আর যতক্ষণ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী বা শিক্ষামন্ত্রীর পক্ষ থেকে জাতীয়করণের ঘোষণা না দেয়া হবে ততক্ষণ আমাদের অবস্থান অব্যাহত থাকবে।’
ধর্মঘটে সমিতির মহাসচিব কাজী মোখলেছুর রহমান, সহ-সভাপতি মাওলানা শাহজাহান, এ বি এম আব্দুল কুদ্দুস, আবু মূসা ভূঁইয়া, মুহা. বশির উল্লাহ আতাহারী ও বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের সদস্য সচিব মুফতি মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী বক্তব্য রাখেন।
এ সময় পাঁচ শতাধিক মাদ্রাসা শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
বার্তাকক্ষ,২৯ নভেম্বর,২০২০;