সারাদেশ

‘দানের টাকায়’ নির্বাচন করছেন ৪ চেয়ারম্যান প্রার্থী

সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী চার চেয়ারম্যান ‘দানের’ টাকায় নির্বাচনী ব্যয় মেটাবেন। স্ত্রী ও স্বজনদের ‘দানের’ টাকা দিয়েই তারা পোস্টার-লিফলেট তৈরি ও বিলি এবং অফিস খরচসহ যাবতীয় নির্বাচনী ব্যয় করবেন।

নির্বাচন কমিশনে (ইসি) এ চার প্রার্থীর মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দেওয়া ফরমে নির্বাচনী ব্যয় নির্বাহের জন্য অর্থপ্রাপ্তির সম্ভাব্য উৎস এবং ব্যয়ের খাত বিবরণী পর্যালোচনা করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

সম্ভাব্য অর্থ প্রাপ্তির উৎস ও ব্যয়ের বিবরণীর তথ্য মতে, সিলেটে জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক অ্যাডভোকেট মো. লুৎফুর রহমান নির্বাচনী ব্যয় মেটাবেন প্রবাসী দুই ছেলের স্বেচ্ছাপ্রণোদিত প্রদত্ত দান হিসাবে প্রাপ্য দেড় লাখ টাকায়। সেইসঙ্গে প্রশাসক হিসেবে নিজের প্রাপ্ত ভাতা রয়েছে আরও ৫০ হাজার টাকা।

তিনি ব্যয়ের খাত হিসেবে ২০ হাজার পোস্টারে ৫০ হাজার টাকা, দু’টি নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপনে ১০ হাজার টাকা, ক্যাম্প কর্মীদের খরচ ২ হাজার টাকা, নিজের ও নির্বাচনী এজেন্টের খরচ ১০ হাজার টাকা, ২০টি ব্যানার তৈরি ও টানানো খাতে ১২ হাজার টাকা, ৫০ হাজার লিফলেট বাবদ ৩৫ হাজার টাকা, ৫০ হাজার হ্যান্ডবিল ছাপানো বাবদ ২৫ হাজার টাকা, ৩০টি ডিজিটাল ব্যানার তৈরি ও সাঁটানো বাবদ ৩৩ হাজার টাকা এবং বিবিধ খরচ ১০ হাজার টাকা দেখিয়েছেন।

বিবরণীর তথ্য অনুযায়ী, নির্বাচনে ৫ লাখ টাকা খরচ করবেন অধ্যক্ষ এনামুল হক সরদার। তিনি দেখিয়েছেন, নির্বাচনে নিজ তহবিল থেকে ৪ লাখ এবং স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা চৌধুরীর দেওয়া ১ লাখ টাকা নির্বাচনী ব্যয় করবেন।

এরমধ্যে ‍তার ১০ হাজার পোস্টার ছাপাতে ৫০ হাজার টাকা, ১৫টি নির্বাচনী ক্যাম্পে ৫০ হাজার টাকা, নির্বাচনী এজেন্ট ও কর্মীদের খরচ ৭৫ হাজার টাকা, ঘরোয়া বৈঠকে ভেন্যু ভাড়া ১০ হাজার টাকা, সভা আয়োজনে শ্রমিকের পারিশ্রমিক ১০ হাজার, আসবাবপত্র ভাড়া ৩০ হাজার টাকা, দেড় হাজার লিফলেট সাড়ে ৪ হাজার টাকা, দেড় হাজার হ্যান্ডবিল ২০ হাজার টাকা, ২শ’ ব্যানার তৈরি ও সাঁটানো ২০ হাজার টাকা, ২শ’ ডিজিটাল ব্যানার তৈরি ও সাঁটানো ২৫ হাজার টাকা, আড়াইশ’ পোর্ট্রেট তৈরি ২৫ হাজার টাকা, প্রার্থীর নির্বাচনী অফিসে আপ্যায়ন খরচ সাড়ে ৭ হাজার টাকা, কর্মী খরচ ৫০ হাজার টাকা, বিবিধ খরচ ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা খরচ হবে।

নির্বাচনে জিয়া উদ্দিন আহমদ লালা খরচ করবেন নিজের ৫০ হাজার এবং দানের সাড়ে ৪ লাখ টাকা। তিনি তার অর্থপ্রাপ্তির উৎস হিসাবে দোকান ভাড়া থেকে প্রাপ্ত নিজের ৫০ হাজার টাকা এবং স্বচ্ছায় প্রদত্ত দান হিসেবে ব্যবসায়ী ভাগনে দোয়েল আহমদ চৌধুরীর ৩ লাখ টাকা ও তেরাজ উদ্দিন নাজিমের দেড় লাখ টাকা দেখিয়েছেন।

এই অর্থ তিনি সম্ভাব্য ব্যয় করবেন ২০ হাজার পোস্টার ছাপাতে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা, ১৩টি নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন ও কর্মীদের জন্য ৭৩ হাজার টাকা, নির্বাচনী এজেন্ট ও কর্মীদের জন্য ৩০ হাজার টাকা, ঘরোয়া বৈঠকে ভেন্যু ভাড়া ২০ হাজার টাকা, সভা আয়োজনে শ্রমিকের মজুরি ৩৫ হাজার টাকা, আসবাবপত্র ভাড়া ২৫ হাজার টাকা, ৫ হাজার লিফলেট ছাপাতে ১৫ হাজার টাকা, ১২০টি ব্যানার তৈরি ও সাঁটাতে ১ লাখ টাকা, ৩টি নির্বাচনী অফিসে প্রার্থীর আপ্যায়নে ৩ হাজার টাকা, কর্মীর জন্য ৪০ হাজার টাকা এবং বিবিধ খাতে ৫ হাজার টাকা।

নির্বাচনে সবচেয়ে কম অর্থ (এক লাখ টাকা) ব্যয় করবেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম। তিনি তার সম্ভাব্য অর্থপ্রাপ্তির খাত দেখিয়েছেন কৃষি থেকে ৫০ হাজার এবং স্বেচ্ছায়প্রণোদিত দান হিসাবে প্রাপ্য প্রবাসী ভাই শামীম আহমদের ৫০ হাজার টাকা।

সম্ভাব্য ব্যয় খাত হিসাবে তার দেড় হাজার পোস্টারে ২০ হাজার টাকা, ১০টি নির্বাচনী ক্যাম্প/অফিস স্থাপন ও কর্মীদের জন্য ৪০ হাজার টাকা, নির্বাচনী এজেন্ট ও কর্মীদের জন্য ১০ হাজার টাকা, দেড় হাজার লিফলেট ১০ হাজার টাকা, ৩০টি ব্যানার তৈরি ও সাঁটানো ১০ হাজার টাকা, কর্মীদের জন্য ৮ হাজার টাকা এবং বিবিধ ২ হাজার টাকা দেখানো হয়েছে।

নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৫:৫০ পিএম, ৭ ডিসেম্বর ২০১৬, বুধবার
ডিএইচ

Share