চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলা দাদী-নাতীর অবৈধ সর্ম্পকের জেরে অবৈধ সন্তান প্রসব শেষে বাল্য বিয়ের ঘটনা ঘটেছে। সন্তান প্রসব হওয়ায় তড়িঘরি করে অসম বয়সী দুই জনের বিয়ের বিষয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি চাঁদপুরে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে দাদী-নাতীর বয়স পরিবর্তন করার মাধ্যমে এই অসম বিয়ে সম্পন্ন হয়।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নের গাবুয়া গ্রামের হাজী বাড়ির সোবহান মিয়ার ছেলে সাইফুল (১৫) স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র।
অপরদিকে সোবহান মিয়ার চাচা মৃত সুলতান মিয়ার স্ত্রী সেলিনা বেগম (৩২) তার একমাত্র প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে একই বাড়িতে বসবাস করে আসছে।
গত বছর সেলিনার স্বামী মারা গেলে সাইফুলের সাথে তার অবৈধ সর্ম্পক গড়ে উঠে। যার ফলশ্রুতিতে গত ৫ ফেব্রুয়ারি সেলিনা বেগম নিজ বাড়িতে একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেয়। বিধবার ঘরে সন্তান প্রবসের বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে বের হয়ে আসে দাদী-নাতীর অসম প্রেমের অবৈধ সর্ম্পকের কাহিনী।
সন্তান প্রসবের বিষয়টি স্থানীয় লোকজন মসজিদের ইমামের ফতোয়া অনুসারে বিচার করা হবে বলে দাবি করলে ওই দুই পরিবারের সদস্যরা গোপনে চাঁদপুর বিজ্ঞ নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ে গিয়ে বিয়ের কাজ সেরে ফেলেন। সেখানে সাইফুলের বয়স ২৮ এবং সেলিনার বয়স ২৪ দেখিয়ে ৩২৩ নং স্বারকেতাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, সুলতানের প্রথম স্ত্রী মারা গেলে বিগত সাত বছর আগে বিয়ে করেন সেলিনাকে। কিন্তু গত বছর সুলতান মারা গেলে সেলিনার সাথে অবৈধ সর্ম্পক গড়ে উঠে সাইফুলের। এদিকে ওই দুই জনের বয়স পরিবর্তন করে কিভাবে এই বিয়ে সম্পন্ন হলো তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা।
আবার অনেকে এ বিয়েকে ইতিবাচক হিসেবে দেখেছেন, তাদের দাবি এ ধরনের ঘটনায় বিয়ে ছাড়া অন্য কোনো উপায়ও ছিলো না, তাই দু’পক্ষের অভিভাবকরা বিয়ের কাজ সেরে ফেলেছেন।
সাইফুলের মা হোসনেয়ারা বলেন, ‘আমার চাচী শ্বাশুড়ী এখন আমাদের পুত্রবধু, আমরা ভালোই আছি।’
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল মোস্তফা তালুকদার বলেন, ‘বিষয়টি সর্ম্পকে আমরা অবগত আছি। ওই দুই পরিবারের সদস্যরা নিজেদের সম্মতিতে এ বিয়ে করিয়েছেন।’