কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুরে যুবলীগ নেতা জামাল হোসেনের চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন কুমিল্লার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বিপিএম বার। তদন্ত কাজ সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব ও দক্ষতা দিয়ে দ্রুত সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান৷ এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন৷
সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ঘটনাস্থল গৌরীপুর পশ্চিম বাজার ঈদগাঁ এলাকা পরিদর্শন শেষে পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের বলেন, হত্যাকাণ্ডের সাথে যারাই জড়িত তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনা হবে। পুলিশ সুপার বলেন, আমাদের সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব ও দক্ষতা দিয়ে এ মামলাটির দ্রুত তদন্ত করবো। এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশকে সহযোগিতা করা এবং এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকারও আহবান জানান তিনি।
পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান আরো বলেন, ঘটনার পর থেকেই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। রহস্য উদঘাটনে পুলিশের একাধিক দল মাঠে কাজ করছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সিআইডির পুলিশ সুপার জাকির হোসেন, র্যাব-১১ সিপিসি-২ (কুমিল্লা) উপ-পরিচালক মেজর মোহাম্মদ শাকিব হোসেন, জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আফজাল হোসেন, সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এনামুল হক, সহকারী পুলিশ সুপার (হোমনা সার্কেল) মো. মহসিন, দাউদকান্দি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলমগীর ভূঞা।
এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে বিকেলে নিহত যুবলীগ নেতা জামাল হোসেনের মরদেহ তার নিজ গ্রাম তিতাসের জিয়ারকান্দি(নোয়াগাঁও) এসে পৌছলে এক হ্নদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্ঠি হয়৷
দাউদকান্দি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আলমগীর ভূঞার জানান, হত্যাকান্ডের ঘটনায় এখনো মামলা দায়ের করা হয়নি৷নিহত।
লাশ দাফনের পর মামলা দায়ের করা হবে বলে জানান নিহত জামাল হোসেনের পরিবার৷
এর আগে গত রবিবার রাত ৮টায় কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর পশ্চিম বাজার ঈদগাঁ এলাকায় বোরখা পড়া দুর্বৃত্তদের গুলিতে জামাল হোসেন (৪০) নিহত হন। সে তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক এবং একই উপজেলার নোয়াগাঁও (জিয়ারকান্দি) গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে।
প্রতিবেদক: জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল, ১ মে ২০২৩