Home / কৃষি ও গবাদি / দাঁতের জন্য ক্ষতিকর অভ্যাসসমূহ
দাঁতের জন্য ক্ষতিকর অভ্যাসসমূহ

দাঁতের জন্য ক্ষতিকর অভ্যাসসমূহ

‎চাঁদপুর টাইমস স্বাস্থ্য ডেস্ক :

দাঁত আমাদের শরীরের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং মহামূল্যবান একটি অঙ্গ। খাবার চিবানোর জন্য সাধারণত দাঁতের প্রয়োজন। কিন্তু, আমরা বিভিন্ন কাজে দাঁতের ব্যবহার করে থাকি। যা আমাদের দাঁতের জন্য ভাল নয়।

আমরা বিভিন্ন ধরণের প্যাকেট ছেড়ার জন্য, বিভিন্ন ক্যান বা বোতলের মুখ খোলার জন্য দাঁতের ব্যবহার করি। আবার মাঝে মাঝে মুখে পেন্সিল, কলম ও পিন দিয়ে রাখি। এর ফলে দাঁতের সমস্যা হবার পাশাপাশি আপনার হাসির সৌন্দর্যও নষ্ট হয়।

প্যাকেট ছেড়া বা বোতলের ছিপি দাঁত দিয়ে খোলা অনেক স্মার্ট মনে হলেও তা দাঁতের জন্য অনেক ক্ষতিকর। দন্তবিদ ডাক্তার এন রামেশ এর মতে, প্যাকেট ও বোতল খোলার ক্ষেত্রে দাঁত ব্যবহার করলে, তা দাঁতে ফাটলের সৃষ্টি করতে পারে। প্যাকেট খোলার কারণে আপনার দাঁতের অবস্থানের স্থানচ্যুত হতে পারে। যার ফলে আপনার দাঁতের মাঝে ব্যাপক ব্যবধানের সৃষ্টি হতে পারে। তাই, বিভিন্ন জিনিস ছেড়ার ক্ষেত্রে কাঁচি বা ছুরি ব্যবহার করা ভাল।

অনেকেই মনে করেন যে, বরফ একটি প্রাকৃতিক ও চিনিমুক্ত খাবার। তাই, বরফ চর্বণের ফলে দাঁতের কোন ক্ষতি হয় না। বলাবাহুল্য, অতি অল্পসংখ্যক লোক জানেন, বরফ চর্বণ করা বা চিবানো দাঁতের জন্য অনেক কষ্টের ব্যাপার। মৌখিক স্বাস্থ্যবিধি বিশেষজ্ঞ ডঃ প্রিথা বলেছেন, “অনেক গরম বা ঠাণ্ডা খাবার দাঁতের সংবেদনশীলতাকে অনেক প্রভাবিত করে। যার ফলে দাঁতের ক্ষতি সাধিত হয়”।

এর ফলে শুধু দাঁতের অসুবিধা নয়, অনেক সময় জিহ্বা ছিদ্র হয়ে যাবার উপক্রম হয়। এতে কোন দ্বিমত নেই যে, জিহ্বা ও ঠোঁট আপনার ব্যক্তিত্বের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অংশ। ডঃ প্রিথা আরও বলেছেন, বরফের ফলে দাঁতে ব্যাকটেরিয়া এবং কালশিটে ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে। এসকল ক্ষতি যদি উপেক্ষা করেন, তাহলে আপনার দাঁত হারাতে হতে পারে।

শয়নকালে স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্যে অনেকে দুধ বা শরবত পান করে থাকেন। এর ফলে দাঁতে ক্ষয়ের সৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে, শিশুরা ঘুমের মধ্যে খাবার গ্রহণ করে। তাই, গবেষকদের মতে, শোবার পূর্বে অবশ্যই ভালভাবে দাঁত ব্রাশ করে ঘুমানো উচিৎ।

রেড ওয়াইন পান করার ফলে চুল, ত্বক ও স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। কিন্তু, এতে কিছু এসিড জাতীয় পদার্থ রয়েছে, যা দাঁতকে কালসে করে ফেলে। যার ফলে দাঁতের রঙ পরিবর্তন হয়ে যায়।

দাঁতের সুরক্ষার জন্য অবশ্যই দাঁতের পর্যাপ্ত যত্ন নিতে হবে। তাই, অবশ্যই উপরিউক্ত অভ্যাসগুলো পরিত্যাগ।–সূত্র: টাইম্‌স অফ ইন্ডিয়া।

চাঁদপুর টাইমস : এমআরআর/২০১৫