মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার দশম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষকরা। তবে গতকাল আগের দু-তিন দিনের চেয়ে শিক্ষকদের জমায়েত কিছুটা কমেছে। শিক্ষকরা জানিয়েছেন, আগামি শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। এ দু’ দিন জমায়েত বাড়বে। এছাড়া প্রতিদিনই নতুন নতুন শিক্ষকরা আন্দোলনে যোগ দিচ্ছেন। জাতীয়করণের ঘোষণা না আসা পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদ বলেন, ‘অবস্থান কর্মসূচিতে প্রতিদিনই শিক্ষকদের সংখ্যা বাড়ছে। আমরা এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা বৈষম্যের শিকার। বর্তমান দ্রব্যমূল্যের বাজারে আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি। এ অবস্থায় আমরা জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলন করছি। সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। তবে প্রধানমন্ত্রী যদি আমাদের ডেকে কথা বলে কোনো নির্দেশ দেন তা আমরা মেনে নেব।’
গত বুধবার আন্দোলনকারী শিক্ষক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সেখানে আগামি সংসদ নির্বাচনের আগে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারীকরণ সম্ভব নয় বলে জানান মন্ত্রী। তবে এ প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে দুটি বিশেষজ্ঞ কমিটি করার ঘোষণা দেয়া হয়।
তবে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পর শিক্ষকরা তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার না করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। তবে তারা পাঁচ মিনিটের জন্যও প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাত্ পেলে আন্দোলন থেকে সরে আসবেন বলে জানান। মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে ১১ জুলাই থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকরা। আন্দোলনের চতুর্থ দিনে তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তালা ঝোলানো কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তবে এরই মধ্যে শিক্ষা প্রশাসন থেকে শিক্ষকদের স্কুলে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দিয়েছেন। সূত্র : ইত্তেফাক
২১ জুলাই ২০২৩