দলীয় মনোনয়ন পেয়েও নির্দলীয় জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারছেন না সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের নেতা মুক্তিযোদ্ধা এম আবু ওসমান চৌধুরী।
নিজের নির্বাচনী এলাকার ভোটার না হওয়ায় চাঁদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে তার প্রার্থী হওয়ার সুযোগ নেই।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপ সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান বলেন, “এম আবু ওসমান চৌধুরীসহ অন্তত তিনজন ভোটার স্থানান্তরের জন্য আবেদন করেছেন। ভোট সামনে রেখে তফসিল ঘোষণার পর এ ধরনের ঠিকানা স্থানান্তরের আবেদন আমলে নিচ্ছে না কমিশন।”
সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা নিজ এলাকার ভোটার না হওয়ার কারণে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ পাবেন না বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে ওসমান চৌধুরীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার পরিবারের একজন সদস্য জানান, তিনি ঢাকা ধানমন্ডির ভোটার। চাঁদপুরে ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য কমিশনে আবেদন করেছেন, সোমবার (২৮ নভেম্বর) এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে বলে তারা আশা করছেন।
তিন পার্বত্য জেলা বাদ দিয়ে বাকি ৬১ জেলায় প্রথমবারের মতো জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য পদে ভোট হচ্ছে।
২৫ বছর বয়সী বাংলাদেশের যে কোনো ভোটার জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারলেও ভোট দিতে পারবেন না। আর জনপ্রতিনিধিরা ভোটার হলেও প্রার্থী হতে পারবেন না।
সংসদ, সিটি করপোরেশন, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচন হলেও জেলা পরিষদ আইনে প্রত্যক্ষ ভোটের বিধান নেই।
প্রত্যেক জেলার অন্তর্ভুক্ত সিটি করপোরেশনের (যদি থাকে) মেয়র ও কাউন্সিলর, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ও ভাইস চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর এবং ইউপির চেয়ারম্যান ও সদস্য জেলার পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটার হবেন। তাদের ভোটেই জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য নির্বাচিত হবেন।
এ হিসেবে স্থানীয় সরকারের চার ধরনের প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৬৭ হাজার নির্বাচিত প্রতিনিধি এ নির্বাচনে ভোট দেবেন।
বর্তমানে ৬১ জেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত পরিষদের প্রশাসকও রয়েছেন। নির্বাচনে অংশ নিতে তাদেরও পদ ছাড়তে হবে।
ইসির উপ সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান জানান, স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে প্রার্থী হতে হলে সংশ্লিষ্ট জেলা পরিষদের ভোটার হতে হবে। ২০ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার পর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভোটার স্থানান্তর বন্ধ রয়েছে। (বিডিনিউজ)
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১:৩০ পিএম, ২৯ নভেম্বর ২০১৬, মঙ্গলবার
ডিএইচ