Home / শিক্ষাঙ্গন / ৩৭ হাজার দপ্তরি কাম প্রহরীর ৫ দফা দাবি
primary

৩৭ হাজার দপ্তরি কাম প্রহরীর ৫ দফা দাবি

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ৩৭ হাজার দপ্তরি কাম প্রহরীর চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তর ও অবিলম্বে আইনানুযায়ী কর্মঘণ্টা নির্ধারণসহ ৫ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দপ্তরি কাম প্রহরীরা।

৩০ জুন সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়।

আন্দোলন পরিচালনা কমিটির সদস্য মো.নাছির উদ্দিন মোল্লা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৃষ্ট পদে নিয়োগের পর থেকে আমরা সততা ও কর্তব্যপরাণয়তার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছি। একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেও আমরা ন্যায্য বেতন ভাতা পাই না। তার মধ্যে আবার বিভিন্ন উপজেলায় বেতন বিভিন্ন ধরনের। কোনো উপজেলায় ১৪ হাজার ৪৫০ টাকা আবার কোথাও ১৬ হাজার ১৩০ টাকা করে বেতন পাচ্ছে। আবার কোনো উপজেলায় উৎসব ভাতা পাচ্ছে, কোথাও পাচ্ছে না।

অমানবিক ও নজিরবিহীনভাবে আমাদের দিনে দাপ্তরিক কাজ ও রাতে প্রহরীর দায়িত্ব পালন করতে হয়। ২৪ ঘণ্টা ডিউটি পালন করতে গিয়ে আমরা সন্তান ও পরিবার থেকে আলাদা হয়ে যাচ্ছি। স্বাধীন বাংলাদেশে এটা কোন ধরনের পরাধীনতা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবো।

আন্দোলন পরিচালনা কমিটির সদস্য মো.মিজানুর রহমান জানান, দপ্তরি কাম প্রহরীরা নানাভাবে সমস্যায় জর্জরিত। দপ্তরী কাম প্রহরীদের ডিউটি সার্বক্ষণিক বলতে স্কুল টাইম-এমন কথা বলা হলেও বাস্তব চিত্ৰ সম্পূৰ্ণ ভিন্ন। মাঠ পর্যায়ে আমাদের দিয়ে রাতদিন ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করানো হয়।

মাঝে মাঝে দপ্তরি ও প্রহরীর কাজের পাশাপাশি ক্লাস নিতে হয় দাবি করে তিনি আরও বলেন, ২৪ ঘন্টা ডিউটি করে একজন মানুষের জীবন চলতে পারে না। পাশাপাশি সরকারের মধ্যে একশ্রেণির সুবিধাভোগী আমলারা নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করতে গড়িমসি করছে। তাই দপ্তরি কাম প্রহরীদের ন্যায্য দাবিগুলো অনতিবিলম্বে কার্যকর করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।

৫ দফা দাবি
বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দপ্তরি কাম প্রহরীদের দিক থেকে যে দাবিগুলো তুলে ধরা হয়েছে সেগুলো হলো-

১.দপ্তরি কাম প্রহরী পদটি জাতীয়করণ করতে হবে। ২.আইন অনুযায়ী কর্মঘন্টা নির্ধারণ ও কাজের নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। ৩. উৎসব ভাতা পুনর্বহাল ও বেতন বৈষম্য দূরী করতে হবে। ৪. বেতন ভাতা বৃদ্ধিসহ নৈমিত্তিক ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে। ৫. যোগ্যতা অনুযায়ী পদন্নোতি ও মৃত্যুবরণ করা দপ্তরি কাম প্রহরীদের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করতে হবে।

অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন আন্দোলনরত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত দপ্তরি কাম প্রহরী সাধন কান্ত বাড়ৈ,মামুন সরদার,মো.নাছির উদ্দিন মোল্লা,মিজানুর রহমান মিজান,আনিসুর রহমান,মজিবুর রহমান,শফিকুল ইসলাম, মো.রিয়াজ শেখ,আসাদুল ইসলাম,জুয়েল মল্লিক, মো.সোহান,মো. মামুন শেখ,আব্দুর রহমান প্রমুখ।

১ জুলাইু ২০২২
এজি