ডারবান টেস্টে এ মুহূর্তে ১১৭ রানে এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা।
এ সংখ্যা আরও বেশি হতে পারত যদি না ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় বিরোচিত ও ধৈর্যশীল এক ইনিংস খেলতেন।
তিনি একাই খেলেন ৩২৬ বল। উইকেটে ছিলেন ৪৪২ মিনিট। লিজাড উইলিয়ামসের বলে শেষ ব্যাটার হিসাবে যখন আউট হন তিনি, তার নামের পাশে ১৩৭ রান।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে এটাই বাংলাদেশের কোনো ব্যাটারের প্রথম সেঞ্চুরি।
যে ধৈর্য নিয়ে মাহমুদুল লড়াই করেছেন, বাংলাদেশের জন্য সেটি গর্ব করার মতো। তার স্কিল, পরিণত মানসিকতা টেস্ট ব্যাটিংয়ের আদর্শ উদাহরণ।
জয় চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের ১০নং দক্ষিণ গোবিন্দপুর ইউনিয়নের পশ্চিম লাডুয়া গ্রামের মো. আব্দুল বারেকের ছেলে। বাবা আবদুল বারেক পূবালী ব্যাংকের চাঁদপুর শহরের বাবুরহাট শাখায় সিনিয়র অফিসার হিসেবে কর্মরত।
ছেলের এমন কৃতিত্বে জয়ের বাবা উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে জয় বাংলাদেশের হয়ে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করল। ছুটির দিন হওয়ায় পুরো খেলা দেখেছি। খুবই আনন্দ লেগেছে। ছেলে যাতে ভবিষ্যতে আরও ভালো খেলতে পারে এবং দেশের জন্য মর্যাদা বয়ে আনতে পারে, সেজন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।’
এদিকে জয়ের কৃতিত্বপূর্ণ সেঞ্চুরিতে তার নিজ জেলা চাঁদপুরে আনন্দের ঢেউ বইছে। চায়ের দোকানে, টিভি-ফ্রিজের শোরুমে আর বাসায় বসে টিভিতে জয়ের খেলা দেখেছেন জেলার ক্রিকেটপ্রেমীরা।
১০-১২ বছর আগে চাঁদপুর ক্লেমন ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে শুরু হয় জয়ের ক্রিকেটীয় জীবনের পথ চলা।
সেখানে জয়ের প্রথম কোচ ছিলেন শামীম ফারুকী। ছোট বেলা থেকেই এ কোচের অধীনে দিক্ষা নিয়েছেন জয়।
শামীম ফারুকীর তার হাত ধরেই বিকেএসপিতে ভর্তি হয়েছিলেন জয়।
ক্রীড়া ডেস্ক, ৩ এপ্রিল ২০২২
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur