আশ্চার্য হলেও সত্য চাঁদপুর শহরের একটি ফলের দোকানে আমের ঝুড়িতে জমজ পাওয়া গেছে ! যা দেখে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অনেকেই মন্তব্য করেছে,জীবনে এই প্রথম জমজ আম হতে দেখেছে।
আমের দাম হাঁকা হয়েছে ২ হাজার টাকা। যদিও বাজার মূল্যে ৭০ টাকা কেজি দরে আমটির দাম হয় ৫২ টাকা।
চাঁদপুর শহরের ব্যাস্ততম এলাকা রেলওয়ে কোর্ট স্টেশনের পাশ্বে চাঁদপুর মেডিকেল সংলগ্ন ফলের দোকান আল্লার দান ফুড প্রোডাসের মালিক মো: জুলহাস বেপারীর ছেলে কাউছার আহমেদ মো: রুবেল আমের ঝুড়িতে আমটি পাওয়া যায়।
ক্রেতাদের জমজ আম কেনার প্রতিযোগিতায় এ জমজ আমটির মূল্য উঠে ২ হাজার টাকা। এ বিষয়ে অনেকের সাথে কথা হলে তারা জানান, ‘জাম, কলা, কাঠাল জমজ দেখা কিংবা খাওয়া হয়েছে।
ডিমের মধ্যে ২ কুসুমসহ ডিম, মানুষের জমজ সন্তান, গরু,ছাগল,মুরগীসহ বিভিন্ন প্রানীর বাচ্চা জমজ হতে দেখা হলেও সাধারণত আম কখনো এভাবে দেখা হয়নি। তাই বিষয়টি অনেকেই প্রথমে দেখে কিছুটা অবাক হয়েছে।
আমটি ওজন করা হলে দেখা যায়,আমটি ৭শ” ৫০ গ্রাম ওজন। জমজ আমটি দেখার জন্য শত-শত ক্রেতা দোকানে এসে ভিড় জমায়।
অনেকে আমটিসহ সেলফি তুলেন। এসময় শহরের বকুলতলা এলাকার বাড়ির মালিক ব্যবসায়ী মো: আব্দুল রাজ্জাক আমটি ক্রয় করতে না পেরে মনের আবেগে জমজ আমটি হাতে নিয়ে একটি ছবি তুলে ফেসবুকে ছেড়ে দেন।
এ সময় আম দোকানি রুবেল জানান,আমার ১৬ বছর ফল ব্যবসার জীবনে এ ধরনের জমজ আম দেখতে পাইনি। এ প্রথম দেখতে পেলাম অন্য ফলের মত আমও জমজ হয়। যা”আশ্চার্য হলেও বাস্তবে সত্য।
এ সময় উপস্থিত কিশোর, যুবক, যুবতি ও বৃদ্ব অনেকেই মন্তব্য করেছেন,জীবনে বহু প্রকার ফল জমজ দেখেছি এবং খেয়েছি। তবে আম জমজ দেখিনি এবং খাইনি।
এ সময় অনেকের সাথে কথা হলে তারা বিভিন্ন প্রকার মন্তব্যও করেন। এ ব্যাপারে ৪৫ বছর বয়সি শ্যামল চন্দ্র স্বাভাবিক ভাবে জমজ আমটি দেখে আশ্চার্য লাগছে ও খুব ভাল লাগছে। আমটি খেতে পারলে ভাল লাগতো।
৮০ বছরের ব্যবসায়ী মনির হোসেন জানান, আমার জীবনে এই প্রথম জমজ আম দেখলাম। এ জীবনে আর কখনও এমন আম দেখিনি, অবাক লাগতেছে।
ছবি ও প্রতিবেদন : সাংবাদিক শওকত আলী