বিজিবি ও পুলিশের সঙ্গে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিন জন নিহত হয়েছে। ঘটনা দুটি ঘটেছে শুক্রবার দিবাগত রাতে কক্সবাজারের টেকনাফ ও কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে। টেকনাফে বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত দুই জন রোহিঙ্গা যুবক। তারা দু’জনেই ইয়াবা কারবারি বলে বিজিবি জানিয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের মোচনীস্থ ছ্যুরিখাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. ফয়সল হাসান খান জানান, মোচনীস্থ ছ্যুরিখাল এলাকা দিয়ে রাতের অন্ধকারে মিয়ানমার থেকে কিছু লোক সাঁতরে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এ সময় হ্নীলার লেদা বিওপির সদস্যরা সীমান্তে টহল দিচ্ছিলো। বিজিবির সদস্যরা তাদের চ্যালেঞ্জ করলে বিজিবি সদস্যদের লক্ষ্য করে তারা গুলি ছোড়ে। এ সময় বিজিবি’র তিন জন সদস্য আহত হন।
আত্মরক্ষার্থে বিজিবি সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়। এভাবে চার থেকে পাঁচ মিনিট গুলি বিনিময় হয়। একপর্যায়ে তাদের দলের অনেকে পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাদের চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে পৌঁছানোর পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
বিজিবি জানায়, ঘটনাস্থল থেকে দুই লাখ ১০ হাজার পিস ইয়াবা, একটি দেশীয় তৈরি এলজি বন্দুক, এক রাউন্ড তাজা কার্তুজ, একটি ধারালো কিরিচ উদ্ধার করেছে বিজিবি। ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতরা হলেন, উখিয়া উপজেলার বালুখালী এক নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প এইচ/৩৯ ব্লকের বাসিন্দা হাবিব উল্লাহর ছেলে মো. ফেরদৌস (৩০) ও একই ক্যাম্পের এইচ/২০ ব্লকের মৃত সৈয়দ আহমদের ছেলে আব্দুস সালাম (৩৫)।
এদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ কুদরত আলী মন্ডল (৫০) নামে এক ব্যাক্তি নিহত হয়েছেন। শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার ডাংমড়কা সেন্টারমোড় এলাকায় আবুল কালাম আজাদের ইটভাটার কাছে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আরিফুর রহমান জানান, মাদক ক্রয় বিক্রয়ের সংবাদ পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ ডাংমড়কা সেন্টারমোড় এলাকার আবুল কালাম আজাদের ইটভাটায় অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। জবাবে পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে একপর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পুলিশের এক এএসআইসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানান ওসি।
নিহত কুদরত আলী মন্ডল উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের সীমান্ত সংলগ্ন মুন্সিগঞ্জ গ্রামের মৃত নিয়ামত আলী মন্ডলের ছেলে। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগজিন, একটি দেশীয় অস্ত্র (হাসুয়া) ও ৪৩ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে পুলিশ। কুদরত আলীর বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে একাধিক মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বার্তা কক্ষ, ২৫ জুলাই ২০২০