চাঁদপুর

ত্রিমুখী সমস্যায় চাঁদপুর শহরের রাস্তা : ঈদে ভয়বাহ যানজটের আশংকা

আর মাত্র দু’দিন পরেই মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা। পবিত্র এ ঈদে মহান আল্লাহ্র সন্তুষ্টি অর্জনে পরিবারের সাথে পশু কোরবানির বিষয়টি জড়িত থাকায় ঘরমুখী মানুষের সংখ্যা থাকে অনেক বেশি।

এতে ঈদুল আযহায় দেশের প্রতিটি জেলাতেই যানজট বেশি থাকে। তবে এবারের ঈদে চাঁদপুরে ছোটবড় সব রাস্তায় ত্রিমুখী সমস্যার কারণে এবারে ভয়াবহ যানজটে আশংক্যা দেখা দিয়েছে। একদিকে অতিরিক্ত মানুষের চাপ, অন্যদিকে শহরের সড়কগুলো সংস্কারের অভাবে খানাখন্দ এবং ঈদের আগে পরে বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দেয়ায় চাঁদপুরের এবারের স্বরণকালের ভয়াবহ যানজটের আশংকা করছেন সচেতন মহল।

এতে করে ঈদে গৃহমুখী এবং এবং ঈদ পরবর্তী কর্মস্থলমুখি মানুষকে পড়তে হবে চরম ভোগান্তির মধ্যে।

বিগত দিনের অভিজ্ঞতার দেখা যায়, জেলার ট্রেন স্টেশন, লঞ্চঘাট ও বাস স্টেশন শহরের প্রানকেন্দ্র কালিবাড়ি এলাকার কাছাকাছি হওয়ায় সারা বছর ছোট্ট এই শহরটিতে যানজট লেগেই থাকে। তাছাড়া চাঁদপুর শহরের যানজট নিরসনে পৗরসভার উদ্যোগে শহরের মিশন রোড় থেকে ফরিদগঞ্জ-রায়পুর সড়কের সাথে সংযোগ রেখে বঙ্গবন্ধু সড়ক নামে যে সড়কটি করা হয়েছিলো গত অর্ধমান ধরে বৃষ্টির পানির স্রোতে বর্তমানে সেটি শহর থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছে। যার ফলে ওই সড়কটি বন্ধ থাকায় শহরে প্রবেশের একমাত্র সড়ক কুমিল্লা রোডে এর প্রভাব বেশি পড়ছে। বিশেষ করে লঞ্চযাত্রীদের বহন করা সব সিএনজি স্কুটার এ রোডে যাতায়াত বেড়ে গেছে।

বঙ্গবন্ধু সড়ক বন্ধ হওয়ার পর থেকে এরইমধ্যেই গত ১৫দিন ধরে কুমিল্লা রোড়ে ভয়াবহ যানজট অব্যহত রয়েছে। এছাড়া সস্প্রতি সময়ে টানা বর্ষণ এবং সংস্কারের অভাবে শহরের ছোটবড় প্রায় সব সড়কই খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ঈদের একদিন আগে এবং পরের কয়েকদিন সারা দেশেই বৃষ্টিপাত হওয়ার আশংক্যা রয়েছে। এরমধ্যে মধ্যাঞ্চল এবং দক্ষিণাঞ্চলে বেশি বৃষ্টি হবে। সূত্র থেকে আরো জানা যায়, ৩১ আগস্টের পর আকাশে মেঘ বাড়বে। তারপর ১ সেপ্টেম্বর থেকে বেশি বৃষ্টিপাত শুরু হবে এবং তা ৪ বা ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

অপরদিকে একটি সূত্র থেকে জানা যায় শহরে এখনো প্রায় ৪ থেকে ৫শ’ সিএনজি আটো-রিক্সা লাইসেন্স বিহীন অবৈধভাবে চলাচল করছে। এসব সিএনজি আটো রিক্সাগুলোর মালিকরা ট্রাফিক পুলিশকে মাসিক মাসোয়ারা মাধ্যমে ম্যনেজ করেই তাদের এহেন কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে।

এতে করে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তা অনায়শেই বলা যায়। ধারণ ক্ষতার চেয়েও কয়েকগুণ বেশি সিএনজি, অটোরিক্সা, ব্যাটারি চালিত অটোবাইক শহরের চলাচলের লাইসেন্স দেয়ায় নগর কতৃপক্ষের প্রতি শান্তিপ্রিয় শহরবাসীর কিছুটা চাপা ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এমতাবস্তায় ভুক্তভোগী জনসাধারণনের দাবি বিষয়টি নজরে এনে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এবং পৌর মেয়রের দৃষ্টি কামনা করেছেন।

প্রতিবেদক: আশিক বিন রহিম
আপডেট,বাংলাদেশ সময় ২:১০ এএম,৩১ আগস্ট ২০১৭, বৃহস্পতিবার
এজি

Share