সাত মাস আগে বিয়ে হয় নয়ন-তানিয়ার। বিয়ের আগে থেকেই নেশায় আসক্ত ছিলেন নয়ন। স্ত্রী শত চেষ্টা করেও তাঁকে ফেরাতে পারেননি। গত শনিবার নেশা করতে বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন নয়ন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ রোববার নারায়ণগঞ্জে অভিযান চালিয়ে নয়ন মিয়াসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
রাজধানীর সূত্রাপুর পুলিশ জানায়, সূত্রাপুরের ৫১/এফ জংশন রোডের দুই ভবনের মাঝখান থেকে গলায় রশি প্যাঁচানো নারীর মৃতদেহ দেখে এক নারী ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
তানিয়ার বাবা টেলু দেওয়ান বলেন, ‘সাত মাস আগে নয়নের সঙ্গে পারিবারিকভাবে তানিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই মেয়েকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করত সে। দুই মাস আগে নয়নের সঙ্গে রাগ করে মেয়ে গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর চলে আসে। পরে গত বৃহস্পতিবার নয়ন এসে মেয়েকে সূত্রাপুরের বাসায় নিয়ে যায়। ঢাকায় যাওয়ার পর শুক্রবার নয়নকে ফোন দিয়েছিলাম খোঁজখবর নেওয়ার জন্য। তখন নয়ন বলে, তোর মেয়েকে মেরে ফেলে রেখেছি, লাশ পাঠিয়ে দেব।’
তানিয়ার ছোট বোন রানী আক্তারের অভিযোগ, এর একদিন পর শনিবার সন্ধ্যায় তাঁর দুলাভাই ফোন করে বলেন, তাঁর বোনকে মেরে খাটের নিচে ফেলে রেখেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সূত্রাপুর থানার ওসি মঈনুল ইসলাম বলেন, নিহত ব্যক্তির বাবা টেলু দেওয়ান বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। নয়ন মিয়াসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।