বগুড়া-নগরবাড়ী মহাসড়কের সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে তেলবাহী লরির ধাক্কায় শিশু ও নারীসহ একই পরিবারের ৮ নসিমনযাত্রী নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার শাহজাদপুর উপজেলার গাড়াদহ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতেরা হলেন-সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোরজানা ইউনিয়নের মহারাজপুর গ্রামের হাসেম আলীর ছেলে মগবেল (৪০), সোবাহান (৩৫), জালাল (৪২), তারা মিয়ার স্ত্রী রেনু (২৮), রেজাউল হকের স্ত্রী ফিরোজা (২৭), সুরমান আলীর স্ত্রী আজুবা (৬০), জালাল উদ্দিনের স্ত্রী অঞ্জনা (২৫) ও রজব আলীর মিশু কন্যা বন্যা (১০)।
পুলিশ, ফায়ার ব্রিগেড ও এলাকাবাসীরা জানায়, মঙ্গলবার একটি পরিবারের ১৫ সদস্য একটি সুন্নতে খাৎনার অনুষ্ঠানে যোগ দেবার জন্য যাচ্ছিল। তারা ট্রেনে গাজীপুর যাবার জন্য উল্লাপাড়া রেলওয়ে স্টেশনে যাচ্ছিল। পথে ভোর সোয়া ৬টার দিকে পাবনা-নগড়বাড়ি মহাসড়কের জেলার শাহজাদপুর উপজেলার গাড়াদহ এলাকায় পৌঁছলে উত্তরবঙ্গ থেকে বাঘাবাড়ীগামী একটি তেলবাহী ট্যাংকলরি ওই নসিমনকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিন ভাই ও তাদের স্ত্রীসহ ৫ জন নিহত হন। আহত হয় অন্তত ১১ জন।
খবর পেয়ে পুলিশ, ফায়ার ব্রিগেড সদস্য ও স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে শাহজাদপুর উপজেলার পোরজানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় এক শিশুসহ আরো তিনজন মারা যান। আহত ৮ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা ও বগুড়ার বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে, একই গ্রামের একই পরিবারের আটজন সদস্য নিহত হবার ঘটনায় ওই এলাকায় শোকের ছায়া বিরাজ করছে।
পরে বেলা দশটার দিকে সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. বিল্লাল হোসেন, পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ, শাহজাদপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামিম আহম্মেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের প্রত্যেককে ৪৫ হাজার টাকা করে প্রদানের ঘোষণা দেয়া হয়।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী ও শাহজাদপুর থানার ওসি রেজাউল হক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিউজ ডেস্ক ।। ।। আপডেট : ০১:১৪ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫, মঙ্গলবার
ডিএইচ