আগাম প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। নির্ধারিত মেয়াদের এক বছরেরও বেশি আগে আগামী ২৪ জুন একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে এই নির্বাচন।
বুধবার আঙ্কারার প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে এক বক্তৃতায় এরদোগান বলেন, নির্বাহী প্রেসিডেন্সি এখন দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, নির্বাচনের তারিখ ঠিক করবে নির্বাচন কমিশন, তবে এখনই প্রস্তুতি শুরু হওয়া দরকার।
ন্যাশনালিস্ট মুভমেন্ট পার্টির(এমএইচপি) ডেভলেত বাহচেলির সাথে বৈঠকের পর এই ঘোষণা দেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। বাহচেলি এরদোগানের সাথে বৈঠকের একদিন আগে আগাম নির্বাচনের দাবি করেছিলেন। স্বাভাবিক নিয়মে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন ২০১৯ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
গত বছর এক গণভোটের মাধ্যমে সংসদীয় ব্যবস্থা থেকে প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির শাসন ব্যবস্থায় রূপান্তরিত হয়েছে তুরস্ক যা পরবর্তী নির্বাচনের পর সেটি কার্যকর হওয়ার কথা।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ মেয়েকে সাথে নিয়ে লন্ডনের উদ্দেশ্যে দেশ ত্যাগ করেছেন। তার আগে অবশ্য ফিরে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে হয়েছে আদালতে। বুধবার মেয়ে মরিয়ম নওয়াজকে নিয়ে বিমানে উঠেন তিনি। অসুস্থ স্ত্রীকে দেখার জন্য লন্ডন যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন নওয়াজ।
ডনের খবরে বলা হয়েছে, নওয়াজের স্ত্রী কুলসুম নওয়াজ ক্যানসারে আক্রান্ত। লন্ডনে তার চিকিৎসা চলছে। মরিয়ম নওয়াজ এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, তার মাকে আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ জন্যই লন্ডন যাচ্ছেন তারা। স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে নয়টায় কাতার এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে ওঠেন তারা।
আগামী ২২ এপ্রিল ফিরে আসার কথা রয়েছে বাবা-মেয়ের। বর্তমানে তাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের অ্যাকাউন্টিবিলিটি আদালতে একটি মামলা বিচারাধীন আছে। ওই মামলার শুনানিতে অংশ নিতেই দেশে ফিরতে হবে নওয়াজ শরিফ ও মরিয়মকে।
এরই মধ্যে বেগম কুলসুম নওয়াজের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। পাকিস্তান মুসলিম লিগের (নওয়াজ) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। নওয়াজের ছেলেরাও এখন লন্ডনে রয়েছেন। বুধবার সকালে লেখা টুইট বার্তায় মায়ের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন মরিয়ম নওয়াজ।
নওয়াজ শরিফকে গত শুক্রবার যেকোনো রাষ্ট্রীয় পদে আজীবনের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করেন পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ সর্বসম্মতভাবে এ রায় দেন। রায়ে আদালত বলেন, নওয়াজ নির্বাচনে অংশগ্রহণ বা পার্লামেন্টের সদস্য হতে পারবেন না।
এর আগে পানামা পেপারস কেলেঙ্কারির জেরে গত বছরের জুলাইয়ে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট নওয়াজকে প্রধানমন্ত্রী পদে অযোগ্য ঘোষণা করেন। রায়ের পরই পদত্যাগ করেছিলেন নওয়াজ শরিফ।
নিউজ ডেস্ক