ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা এবং মর্যাদার লড়াইয়ে পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ান। দেশটির রাজধানী ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে স্থানীয় কর্মকর্তাদের তিনি বলেছেন,অত্যাচারীদের শত্রু এবং নিপীড়িতদের রক্ষক হিসাবে তুরস্ক থাকবে।
এছাড়াও ফিলিস্তিনে গণহত্যার বিরুদ্ধে তুরস্ক কাজ করবে।
এ সময় ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীকে উল্লেখ করে এরদোয়ান বলেন,যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ নেতানিয়াহু নামক একজন নির্মম খুনির হাতে নিছক খেলনায় পরিণত হয়েছে। ফিলিস্তিনে ২০ হাজার শিশু মারা গেছে। অথচ ‘এটা লজ্জাজনক’ বলার জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি। হাজার হাজার নারী মারা গেছে,অথচ নারী অধিকার সংগঠনগুলো একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি।
তিনি আরও বলেন,‘গাজায় ১৭৫ জন সাংবাদিক মারা গেছে,অথচ আন্তর্জাতিক মিডিয়া মোটেই পাত্তা দিচ্ছে না। ৫০ হাজার নিরপরাধ মানুষের গণহত্যার দায় নিঃসন্দেহে দখলদার ইসরাইল বাহিনীর উপর বর্তায়। যারা ইসরাইলি সরকারকে নিঃশর্ত সমর্থন দেয় এবং অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাঠায়,তারাও এই গণহত্যায় প্রকাশ্যে জড়িত। ’
এরপর এরদোয়ান ফিলিস্তিনির পক্ষে লড়াই করা নেতা ও সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ বলেছেন,যারা কেবল তাদের সংগ্রামের মাধ্যমেই নয়,তাদের শাহাদাতের মাধ্যমেও কিংবদন্তি হয়ে উঠেছেন। তাদের রক্ত দিয়ে গাজার ভূমিকে উর্বর করছে। আমি হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের প্রতি আল্লাহর করুণা কামনা করছি, যিনি সম্প্রতি শহীদ হয়েছেন।
চাঁদপুর টাইমস রিপোর্ট
২১ অক্টোবর ২০২৪
এজি