চাঁদপুরসহ সারাদেশে বইছে তীব্র তাপদাহে। প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে অসংখ্য মানুষ। এই গরমে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে চাঁদপুর
সরকারি হাসপাতালে প্রতিদিনই বাড়ছে রোগীর চাপ। তুলনামূলক বেশি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে শিশুরা।
রোগীর চাপ বাড়ায় সবাইকে ভর্তি রাখাও কঠিন হয়ে পড়ছে। সিট না পেয়ে হাসপাতালের বারান্দায় থেকে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে অনেকে। চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে গত ১০ দিনে এই গরমে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় দুই হাজার ৩২ জন রোগী ভর্তি হয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
এদিকে গত ১২ এপ্রিল ১৮২ জন, ১৩ এপ্রিল ১৯৭ জন, ১৪ এপ্রিল ২১৭ জন, ১৫ এপ্রিল ২২৭ জন , ১৬ এপ্রিল ২০১ জন, ১৭ এপ্রিল ২০০ জন,১৮ এপ্রিল ২০৬ জন, ১৯ এপ্রিল ১৬০ জন, ২০ এপ্রিল ২০৯ জন, ২১ এপ্রিল ২১৩ জন এভাবেই হাসপাতালে রোগীদের চাপ দিন দিন বেড়েই চলেছে। এর মধ্যে শিশুরোগী সবচেয়ে বেশি। তবে শিশু রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত কয়েক দিনে শ্বাসকষ্ট নিয়ে অনেক রোগী ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি।
ফাতেমা বেগম তাঁর তিন বছর বয়সী মেয়ে জান্নাতুল ফেরদাউসকে ভর্তি করিয়েছেন নিউমোনিয়া, গরমের কারণে তাঁর মেয়ের শরীর দুর্বল হয়ে গেছে। শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়। চিকিৎসকের পরামর্শে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন। এদিকে শিশু রোগীর পাশাপাশি বৃদ্ধ কিছু যুবক রা প্রচণ্ড গরমে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে যায় গত কয়েকদিন ধরে গরমে তাপদাহে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ ।
হাসপাতাল তথ্য অনুসারে, সাধারণত প্রতিদিন বহির্বিভাগে রোগী চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন গত কয়েকদিন ধরে রোগীর সংখ্যা বেরিয়ে চলছে। এদিকে চাঁদপুর হাসপাতাল ডাক্তাররা বলেন, গত বছরের তুলনায় এ সময় জ্বর নিউমোনিয়া রোগী বেড়েছে। ডায়রিয়া আক্রান্ত হচ্ছে এই প্রচণ্ড গরমে। এই মুহূর্তে হাসপাতালে অনেক নিউমোনিয়া রোগী ভর্তি আছে। কিন্তু ডায়রিয়া রোগী ভর্তি আছে । গরমের রোগীর চাপ বেড়েছে। বেড সংকটের কারণে আমরা সব রোগী বেডে দিতে পারছিনা তবে তারা চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং সকলকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে ।
হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, সেবা নিতে আসা রোগীরা গরমে হাঁসফাঁস করছে। প্রচণ্ড গরমে যখন বিদ্যুৎ চলে যায় তখন রোগীরা দিশেহারা হয়ে পড়েন।
এম কে এরশাদ, ২৩ এপ্রিল ২০২৪