সারাদেশের ন্যয় প্রচ- তাপদাহে পুড়ছে চাঁদপুর। বাড়ছে সূর্যের খরতাপ। একটুতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছে মানুষ। ব্যাহত হচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। খাঁ খাঁ করছে মাঠ প্রান্তর। ঘরে-বাইরে সবখানেই বিরাজ করে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি।
হিটস্ট্রোক, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, সর্দি-কাশিসহ নানা মৌসুমী জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, এই গরম আরো কয়েকদিন থাকবে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে সূর্যের তাপ।
এছাড়া আকাশে নেই কোনো মেঘের আভাস। তবে বৃষ্টি হলেই গরম কমে যাবে। প্রখর দাবদাহে মঙ্গলবার বড় স্টেশন মূলহেডের নদীতে গোসল করছে কিছু পথ শিশুরা। খুব উৎসাহ মনে রোদের আভাসে তারা নদীর তীরে ঝাপা ঝাপি করছে।
দিনের অধিকাংশ সময় পড়ছে তীব্র রোদ। গরমে অতিষ্ঠ শহরবাসী। ব্যাহত হচ্ছে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক কাজকর্ম। প্রখর রোদ উপেক্ষা করেই চলতে হয় পথচারীদের। বৈশাখের এই দাবদাহে জর্জরিত মানুষের কাছে বেড়েছে ঠা-া পানীয়ের চাহিদা।
ফলে রাস্তার পাশে-ফুটপাতে বিক্রি করা লেবুর শরবত, কাটা ফলমূল খাচ্ছেন। খোলা এসব খাবার খেয়ে ডায়রিয়াসহ নানা রোগেও আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। ফলমূল স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভাল। তবে বাইরের খোলা খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো বলছেন চিকিৎসকরা।
এদিকে চাঁদপুরে হঠাৎ করেই বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে শহরবাসীরও নাজেহাল অবস্থা। চাঁদপুরের বেশির ভাগ এলাকাতেই দিনে-রাতে চার থেকে পাঁচবার লোডশেডিং হয়েছে। একবার বিদ্যুৎ গেলে স্থায়ী হয়েছে দুই ঘণ্টা।
: আপডেট ২:০০ এএম, ১৩ এপ্রিল ২০১৬, বুধবার
ডিএইচ