Saturday, 18 July, 2015 08:57:23 PM
এম এ আকিব :
অনেক পেশাই আছে যাদের ঈদ উৎসব হয় নিজ কর্মস্থলেই। তবে এসব পেশার মধ্যে কিছু পেশার মানুষের রয়েছে অন্যরকম এক বৈচিত্র।
ঈদ এলেই বিভিন্ন গণমাধ্যমে সেসব পেশার মানুষের ঈদ উৎসব তুলে ধরেণ যারা, তাদের ঈদ উৎসব কী ভাবে হয় তার খবর হয়তো কেই সে ভাবে জানার চেষ্টা করেন না। আর জানবেনই বা কি করে, কারণ এরা অন্যের খবর জানাতে গিয়ে নিজের খবরইতো রাখতে পারেন না। ফলে অন্যের খবর তুলে ধরার নেশায় নিজের পরিবারের সাথে ঈদ উৎসবের কথা একেবারেই বেমালুম ভুলে যান তিন গণমাধ্যম কর্মীরা।
রেডিও, টেলিভিশন ও অনলাইন এ তিন গণমাধ্যম গতানুগতিক প্রিন্ট মিডিয়ার মত নয়। এ তিন গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীরা চব্বিশ ঘণ্টাই নিয়োজিত থাকেন সংবাদ সংগ্রহ ও পরিবেশনের কাজে। যে কোনো উৎসবেই বন্ধু-স্বজনদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করার সুযোগ এদের হয় না। মন খারাপ হলেও অভ্যস্ত হয়ে গেছে সবাই। তাই এ জগতে কর্মব্যস্ততার মাঝেই নিরলস পেশাগত দায়িত্ব পালন করে যান তারা।
ঈদের আনন্দের খবর টেলিভিশন স্ক্রিন, ইন্টারনেট কিংবা শব্দ তরঙ্গে মানুষের কাছে পৌঁছে দেন যে গণমাধ্যমকর্মীরা, দেখা যায় নিজের পরিবারের সঙ্গে উৎসব উদযাপনের সঙ্গী হতে পারেন না তারা। কখনো হাসিমুখে কখনো মন খারাপ করে অনিবার্য নিয়তির মতো মেনে নিতে হয় পেশাগত এই দায়িত্ব। সামাজিক যোগাযোগে ঈদে কর্মব্যস্ততার সেলফি তুলে কিংবা ল্যাপটপের কিবোর্ডে হাত রেখে মোবাইলে বন্ধু-পরিজনদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেই অনেকটা সময় কাটে তাদের।
এরা সারাদিন ঘুরে ঘুরে অন্য পেশায় যারা কাজ করছেন তাদের ছুটি না পাওয়ার কষ্টটা নিউজে তুলে ধরছে। কিন্তু নিজের কষ্টের কথা তুলে ধরার জায়গা কোথাও পায় না। তবুও চলে অবিরাম তাদের পথচলা। কারণ তারা জাতীর বিবেক। এটিই তাদের একমাত্র চালিকা শক্তি।
অন্য সহকর্মীর পরিবারের সঙ্গে ঈদ কাটানোর সুযোগ করে দিয়ে নিজের মনটাকে শান্তনা দিয়ে যান এই বলে যে, তারাতো অন্তত নিজ পরিবারের সাথে উৎসব করতে পারছে।
এসব গণমাধ্যম কর্মীরাই আবার সমাজে সবছেয়ে বেসি অবহেলীত। ঠিকমত নিজের পরিবারের দু’মুঠো আহারের ব্যবস্থা করতে গিয়ে রীতিমত হিমশিম খেতে হয় তাদের। তার পরেও চলে তাদের অভিরাম পথচলা।
চাঁদপুর টাইমস : এমএএ/২০১৫।
চাঁদপুর টাইমস’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনেপূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।