তিন ‘ইয়াবাসেবী’ মিলে অন্ধ ভিক্ষুককে ‘বলাৎকার’ আটক ১

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে প্রতিবন্ধী ভিক্ষুককে গভীর রাতে তিন ‘ইয়াবাসেবী’ মিলে ‘পালাক্রমে বলৎকার’ করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ এনাম নামের একজনকে আটক করেছে। মঙ্গলবার (৩১মে) গভীর রাতে উপজেলার হাটিলা ইউনিয়নের পশ্চিম হাটিলা চৌধুরী বাড়ীর বাগানে ঘটে।

বলৎকারকীত প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক বর্তমানে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

ঘটনার বিবরনে জানা যায়, ওই ইউনিয়নের টংগীর পাড় এলাকার প্রতিবন্ধী দেলোয়ার হোসেন অরূপে কানা দেল্লা (৩০) কে বর্তমান নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জলিলুর রহমান মির্জা দুলালের ছোট ভাই ৪ সন্তানের জনক মিজানুর রহমান মির্জা (৪২), হাটিলা গ্রামের গাজী বাড়ীর কদু গাজীর ছেলে এনাম গাজী (৩৮)সহ আরো এক সহযোগি মিলে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে চৌধুরী বাড়ীর বাগানে নিয়ে যায়।

পরে তারা অন্ধ ভিক্ষুক দেলুকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ইয়াবা সেবন করে বলৎকার করে ছেড়ে দেয়। তাদের কবল থেকে রক্ষা পেয়ে অন্ধ ভিক্ষুক কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফেরার পথে বেড়ী পাহারাদার আলমের সামনে পড়ে। পরের দিন সকালে ঘটনাটি পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।

খবর পেয়ে বুধবার (১ জুন) সকালে হাজীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মান্নান ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা খুঁজে পায় এবং অন্ধ ভিক্ষুকের কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে অভিযুক্তদের একজন এনামকে আটক করে।

ভিক্ষুকের অবস্থা বেগতিক দেখে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।

প্রতিবন্ধী অন্ধ ভিক্ষুক দেলু পুলিশকে জানায়, হাজীগঞ্জ বাজার থেকে প্রতিদিন ভিক্ষা করে বাড়ি ফিরে। ওইদিন রাতে বাড়ী ফেরার পথে অস্ত্র ঠেকিয়ে চৌধুরীদের পরিত্যক্ত বাগানে নিয়ে পাশবিক নির্যাতন চালায়।

এ বিষয়ে স্থানীয় আ.হাই ও হোসেন মিয়া বলেন, ‘চেয়ারম্যানের ভাই বলে কথা। ক্ষমতায় এসে এখন আরো বেপরোয়া হয়ে পড়েছে। এলাকায় পড়ে এরা মদ জুয়া ইয়াবা সেবন করে বেড়ায়।’

অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের ছোট ভাই মিজান মির্জা বলেন, ‘আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। আটকৃত এনাম আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ছড়াচ্ছে। ঘটনার সাথে আমি জড়িত নই।’

পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মান্নান চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘মধ্য বয়সী এসব লোকের ঘর সংসার থাকা সত্ত্বেও এমন ঘৃণ্য কাজ কিভাবে করতে পারে তা ভাবা মশকিল। ভিক্ষুক দেলোয়ার এ ঘটনায় অভিযোগ করেছে। জড়িত এনাম নামের এক জনকে আটক করেছি।’

নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মির্জা দুলাল বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি কিন্তু রাজনৈতিক প্রতিহিংসাও ঘটনাটিতে আমার ছোট ভাই মিজান মির্জাকে জড়াতে পারে।’

বর্তমান চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন মিয়াজী বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনাটির তীব্র নিন্দা জানাই। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ভিক্ষুকের জন্য আমার সহযোগিতা থাকবে।’

About The Author

জহিরুল ইসলাম জয়, হাজীগঞ্জ করেসপন্ডেন্ট

: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১০:১০ পিএম, ১ জুন ২০১৬, বুধবার
ডিএইচ

Share