সারাদেশে মাঠ প্রশাসনকে ডিসেম্বরের মধ্যে পাঁচ লাখ তালগাছ রোপণের নির্দেশ দিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।
রোববার (৩০ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রথম জাতীয় কনভেনশন-২০১৭ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এনির্দেশ দেন।
মন্ত্রী বলেন, পাঁচ লাখ তালগাছ রোপণের সবকিছুই চূড়ান্ত হয়ে আছে। এখনই এই গাছ লাগনোর মৌসুম। ডিসেম্বরের মধ্যে এগাছ না লাগাতে পারলে আবার এক বছর অপেক্ষা করতে হবে।
ডিসি ও ই্উএনওদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে এগাছ লাগানোর কাজ শেষ করতে হবে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী আরো বলেন, সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষের আন্তরিকতায় দুর্যোগে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি আরও দৃশ্যমান হারে কমিয়ে আনা সম্ভব। দুর্যোগে সবাইকে সেবার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশে দুর্যোগের ধরন ও ভয়াবহতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব দুর্যোগের সাথে খাপ খাইয়ে বেঁচে থাকার টেকসই উপায় বের করতে হবে।
তিনি বলেন, দুর্যোগে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বেশি ক্ষয়ক্ষতির শিকার হন। প্রতিবছর এভাবে প্রান্তিক মানুষের জানমালের ক্ষতি হতে দেয়া যায় না। এসব মানুষকে বাঁচাতে সুচিন্তিত, অভিজ্ঞতালব্ধ ও বাস্তবসম্মত সুপারিশ ও মতামত দেয়ার জন্য তিনি গবেষকদের আহ্বান জানান।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ্ কামালের সভাপতিত্বে কনভেনশনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্রে দেবনাথ সম্ভু, সংসদ সদস্য সফিকুল ইসলাম শিমুল, আব্দুর রহমান বদি, তালুকদার আব্দুল খালেক বক্তব্য দেন।
কনভেনশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন অতিরিক্ত সচিব সত্যব্রত সাহা।
মূল প্রবন্ধে ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী বাংলাদেশে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশংকা করে এর প্রস্তুতির ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, ভূমিকম্প প্রস্তুতি পরিবার থেকে শুরু করতে হবে। দুর্যোগ বান্ধব নতুন প্রজন্ম সৃষ্টি করতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে পেশা হিসেবে গ্রহণের একাডেমিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সুযোগ করে দেয়ার জন্য সরকারকে অনুরোধ করেন।
দু’দিনব্যাপি কনভেনশনের প্রথম দিনে রোববার (৩০ জুলাই) উদ্বোধনের পর তিনটি কর্মশালা ও দু’টি সাইড ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়।
বজ্রপাতে প্রস্তুতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে করণীয়, ভূমিকম্পে প্রস্তুতি ও ঝুঁকি হ্রাসে করণীয়, ভূমিধস: কারণ চিহ্নিতকরণ ও করণীয় নির্ধারণ-এই তিনটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়াও দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ, জেন্ডার এবং দুর্যোগ-এই দুইটি সাইড ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়।
কনভেনশনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক মেলার আয়োজন করা হয়। মেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার আধুনিক প্রযুক্তি প্রদর্শন করা হয়।
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ ৮ : ১৬ পিএম, ৩০ জুলাই ২০১৭, রোববার
এইউ