‘তামিমের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানানো উচিত’: মাশরাফি

বেশ কিছু দিন ধরে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অনুপস্থিত বাংলাদেশের ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল। নিউজিল্যান্ড-জিম্বাবুয়ে সফরে খেলেননি। চোটের কারণে খেলতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও। চলতি নিউজিল্যান্ড সিরিজেও বিশ্রামে তিনি।

কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে এতদিন বাইরে থেকে হুট করে বিশ্বকাপ একাদশে থাকতে রাজি নন তামিম। এতে কঠোর শ্রম দিয়ে দলে জায়গা করে নেওয়া তরুণদের সঙ্গে অবিচার করা হতো। তা ছাড়া বিশ্বকাপে খারাপ করলে সমালোচনার মুখে পড়তে হতো তাকে।

এসব কারণেই বাঁহাতি ওপেনার নিজের নাম সরিয়ে নিয়েছেন বলে মনে করেন মাশরাফি বিন মর্তুজা।

যে কারণে তামিমের সিদ্ধান্তকে স্যালুট জানান তিনি।

এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে মাশরাফি লেখেন, ‘তামিমের সিদ্ধান্তকে জাস্টিফাই করা খুব কঠিন কাজ না। পুরোটাই পজিটিভভাবে দেখলে সেটি হলো— প্রথমত এটা একান্তই তামিমের সিদ্ধান্ত। এর পর সবচেয়ে বড় যে বিষয়টি ছিল তামিম সবসময় ড্রেসিংরুমে ওয়েলকামিং পারসন। কিন্তু ১৬টা আন্তর্জাতিক ম্যাচ বা কোনো প্র্যাকটিস ম্যাচ ছাড়া এবার সে কতটুকু ওয়েলকামিং হতো তাও হয়তো তাকে ভাবিয়েছে। আর কেউ না বুঝুক তামিম নিজেও জানে এখন ব্যাটসম্যানরা কেমন উইকেটে ব্যাটিং করছে। যেখানে তাদের ভুল থাকলেও তাদের খুব বেশি কিছু করার নেই। আজকের (বুধবারের টি-টোয়েন্টি) উইকেট তো অস্ট্রেলিয়ার সময়ের উইকেট থেকেও ভয়ানক স্লো। এর পর কী অপেক্ষা করছে কে জানে? আর এতকিছুর পরও তামিমকে দলে ঢোকার জন্য কারও খারাপ খেলার প্রয়োজনও নেই। এটা সবারই জানা। কারণ সিম্পলি তামিম দলের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন। তাই আমার কাছে মনে হয়েছে, তামিম তার নিজের সিদ্ধান্ত নিজে ভেবেই নিয়েছে যেটাকে সম্মান জানানো উচিত।’

প্রসঙ্গত বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ নিয়ে যখন দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা মগ্ন, তখন ফেসবুকে এক ভিডিওবার্তা দিয়ে সবাইকে হতবাক করে দেন ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল।

ভিডিওবার্তায় তামিম জানান, আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা হচ্ছে না তার। অক্টোবরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে হতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে তিনি নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন তিনি। আর তার এই সিদ্ধান্তে কেউ প্রভাবক হিসেবে কাজ করেনি। তার হৃদয় যা বলছে, তিনি সেটাই করেছেন।

বার্তাকক্ষ, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২১;

Share