Home / শীর্ষ সংবাদ / তাদের ক্ষতির নির্ণয় কেউ করেনি
ক্ষতির

তাদের ক্ষতির নির্ণয় কেউ করেনি

ঢাকা বঙ্গবাজার আগুনে পুড়ে যাওয়া দোকান ও গোডাউন মিলে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৬ হাজার ছোট বড় ব্যবসায়ীর তালিকা উঠে আসে। তাদের মধ্যে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ ও ফরিদগঞ্জের সীমান্তবর্তী পাঁচৈই, ভাউরপাড়, মনতলা, মানুরী ও ঘনিয়া গ্রামের একাধিক ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী রয়েছেন।

ইতিমধ্যে বিভিন্ন মিডিয়ায় ক্ষতিগ্রস্তের আংশিক নামের তালিকা উঠে আসলেও নানা কারনে উঠে আসেনি তাদের নাম। এসব ক্ষুদ্র ও মাঝারি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ক্ষতির নির্ণয়ে পাশে এসে এখন পর্যন্ত কেউ দাড়ায়নি।

ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে হাজীগঞ্জ উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পাঁচৈই গ্রামের বাসিন্দা ও জেলা পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান হাজী জসিম উদ্দিন ও তার তিন ভাইয়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের মহসিন উদ্দিন তুষারসহ তাদের তিন ভাইয়ের ৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ৭ নং বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের সমেশপুর গ্রামের সর্দার বাড়ির আনোয়ার হোসেন লিটন, আবু জাফরেরর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, পাশের সাদ্রা গ্রামের দর্জিবাড়ির ইউসুফের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ আরো বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর দোকানঘর পুড়ে অন্তত ২০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

হাজীগঞ্জের ব্যবসায়ীরদের এই সকল ক্ষতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, পাঁচুই গ্রামের বাসিন্ধা তথা বঙ্গবাজারের পুরনো ব্যবসায়ী হাজী জসিম উদ্দিন, তার ভাই ফারুক হোসেন এবং হরিপুর গ্রামের মহসিন উদ্দিন তুষার। 

ক্ষতিগ্রস্ত ফারুক হোসেন জানান, জসিম উদ্দিন, আব্দুর রহিম, আব্দুল হান্নান, মানিক হোসেনসহ তাদের ৫ ভাইয়ের ১৫টি দোকান ঘর ও মালামাল আগুনে পুড়ে প্রায় ৪ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

তিনি বলেন, হাজীগঞ্জের ব্যবসয়ীদের প্রায় অর্ধ-শতাধিক ব্যবসায়ীর দোকানঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

এদিকে ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের মনতলা তালুকদার বাড়ীর আনোয়ার হোসেন, দিগদাইর গ্রামের মো. জসিম, গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের ঘনিয়া গ্রামের কামাল শেখ, সাইফুল শেখ ও সুমন, মানুরী গ্রামের জহির মিজি,  দ্বীন ইসলাম ও রুবেল হোসেন।

মনতলা তালুকদার বাড়ীর আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি ঈদ উপলক্ষ্যে মানুষের কাছ থেকে হাওলাত ও ঋণের মাধ্যমে ২৬ লক্ষ টাকার মালামাল গুদামজাত করেছি। ৩ তলার উপর গোডাউন যে কারনে আমি একটি বস্তা মালও সরাতে পারেনি। তাই আমি সরকারের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।

ক্ষতিগ্রস্ত এই সকল ব্যবসায়ীরা চাঁদপুর টাইমসকে জানান, পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে সকল ব্যবসায়ী নিজের সহায়-সম্বল, ধার-দেনা, ব্যাংক ঋণ ও বাকিতে মালামাল স্টক করেছেন। রমজানে স্টককৃত এসব মালামাল পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করে ঋণ ও বাকি টাকা পরিশোধ করবেন আর তাতেই হানা দিয়ে সর্বস্ব নিস্ব করেছে সর্বনাশা আগুনে।

প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়, ৬ এপ্রিল ২০২৩