তাকবিরে তাশরিকের বিধান ও উৎপত্তি কি?

ইসলামিক ডেস্ক:  আপডেট: ১২:৪৭ অপরাহ্ন, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫,  মঙ্গলবার

তাকবিরে তাশরিক তথা তাকবির পড়া ওয়াজিব। তাকবিরে তাশরিকের রয়েছে অনেক ফজিলত। যা জিলহজ মাসের ৯ তারিখ ফজরের নামাজ থেকে ১৩ তারিখের আসরের নামাজ পর্যন্ত সর্বমোট ২৩ ওয়াক্ত নামাজে পড়তে হয়। জাগো নিউজে তা তুলে ধরা হলো-

তাকবিরে তাশরিকের ইতিহাস-
হযরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম যখন আপন পুত্র ইসমাঈলকে কুরবানি করতে যাবেন, তখন আল্লাহর নির্দেশে হজরত জিবরাইল আলাইহিস সালাম বেহেশ্ত থেকে একটি দুম্বা নিয়ে রওয়ানা হন। তাঁর সংশয় হচ্ছিল পৃথিবীতে পদার্পণের পূর্বেই যবেহ কার্য সম্পন্ন হয়ে যায় কিনা। তাই হজরত জিবরাইল আলাইহিস সালাম আকাশ থেকেই উচ্চস্বরে ধ্বনি দিতে থাকেন – الله اكبر- الله اكبر ।

হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম তাঁর আওয়াজ শুনে আকাশ পানে দৃষ্টি করে দেখতে পান যে, ইসমাঈল আলাইহিস সালামের পরিবর্তে কুরবানির জন্য তিনি একটি দুম্বা নিয়ে আসছেন। তাই তিনি বলে উঠলেন -لا اله الاالله والله اكبر । পিতার মুখে তাওহিদের এ অমূল্যবাণী শুনতে পেয়ে হজরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম আল্লাহর মহাত্ম, মর্যাদা ও শান শওকতের উপর হামদ পেশ করে বললেন- الله اكبر ولله الحمد ।

একজন মহান আল্লাহর ফেরেশতা, একজন নবি ও একজন ভবিষ্যৎ নবিসহ এ তিন মহান ব্যক্তিত্বের খুশীর আবেগে উচ্চারিত এ আমলটুকু ও পবিত্র কালামগুলো আল্লাহর দরবারে এত বেশি কবুল হল যে, কিয়ামত পর্যন্ত ঈদুল আজহায় বিশ্ব মুসলিমের কন্ঠে কন্ঠে উচ্চারিত হতে থাকবে। যা বান্দার জন্য পাঠ করা ওয়াজিব।

তাকবিরে তাশরিক কারা কখন পড়বে?
প্রত্যেক বালিগ পুরুষ মহিলা, মুকিম, মুসাফির, গ্রামবাসী, শহরবাসী, জামায়াতে বা একাকি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর প্রত্যেকের উপর একবার করে তাকবিরে তাশরিক পাঠ করা ওয়াজিব।

তাকবিরে তাশরিক হচ্ছে-
اللهُ اَكْبَرُ – اللهُ اَكْبَرُ، لَا اِلَهَ اِلَّااللهُ وَاللهُ اَكْبَرُ – اللهُ اَكْبَرُ وَللهِ الْحَمْدُ –
উচ্চারণ : আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর, ওয়ালিল্লাহিল হামদ্।

পরিশেষে…
আল্লাহর বান্দারা এ ২৩ ওয়াক্ত নামাজে তাকবিরে তাশরিক পাঠ করে আল্লাহ ও নবিদের ভালোবাসার ভাগিদার হোন। আখিরাতের বিশাল জিন্দেগিতে নিজেকে প্রিয় বান্দা হিসেবে তোলে ধরুন। আমিন।

জাগোনিউজ২৪.কমের সঙ্গে থাকুন। সুন্দর সুন্দর ইসলামি আলোচনা পড়ুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।

চাঁদপুর টাইমস- ডিএইচ/২০১৫

Share