ক্রিস্টিনার বয়স মাত্র ২৩ বছর, এর মধ্যেই ১১ সন্তানের মা হয়েছেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, সন্তানের ‘সেঞ্চুরি’ পূরণ করতে চান এ নারী। ক্রিস্টিনার স্বপ্ন- একসময় শতাধিক বাচ্চা খেলা করবে তার ঘরজুড়ে।
রুশ বংশোদ্ভূত ক্রিস্টিনা উজটার্ক ও তার স্বামী গালিপ উজটার্ক থাকেন জর্জিয়ায়। সেখানকার একটি বড় হোটেলের মালিক ক্রিস্টিনার স্বামী। অর্থাৎ এ দম্পতির অর্থের কোনো অভাব নেই।
তারা বাচ্চা খুব ভালোবাসেন। দুজনই চান, তাদের ঘরজুড়ে বাচ্চারা খেলা করে বেড়াক। সেই শখ পূরণে চেষ্টার কমতি রাখছেন না কেউই।
ফলে এখনই তাদের বাড়িটি দেখলে ‘শিশুআশ্রম’ ভেবে ভুল হতে পারে। গেলেই বাড়ির আনাচ-কানাচে খেলা করতে দেখা যাবে ছোট ছোট শিশুদের।
নিজেদের ১১ সন্তানের সবাইকে গর্ভে ধরেননি ক্রিস্টিনা। জর্জিয়ায় গর্ভ ভাড়া আইনসিদ্ধ। এ দম্পতির ১১ সন্তানের মধ্যে ১০ জনেরই জন্ম হয়েছে ওই পদ্ধতিতে। অর্থাৎ গালিপের শুক্রাণু ব্যবহার করে অন্য কোনো নারীর গর্ভে জন্ম নিয়েছে তাদের সন্তান।
এদের মধ্যে শুধু একটি সন্তান জন্ম দিয়েছেন ক্রিস্টিনা। ছয় বছর আগে ভিকা নামে এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন তিনি। সে-ই ক্রিস্টিনার গর্ভে ধারণ করা একমাত্র সন্তান।
গর্ভ ভাড়া নেওয়া অবশ্য বেশ খরচসাপেক্ষ। কোটিপতি এ দম্পতির কাছে তা একেবারেই ‘ছোটখাটো বিষয়’।
ক্রিস্টিনা জানান, গর্ভ ভাড়া নেওয়ার জন্য তাদের আট হাজার ইউরো করে খরচ করতে হয়েছে। অর্থাৎ ১০ সন্তানের জন্য মোট ৮০ হাজার ইউরো খরচ হয়েছে, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৮২ লাখ টাকারও বেশি।
সম্প্রতি ২৩ বছরের এ নারী ইন্টারনেটে তাদের স্বপ্নের কথা তুলে ধরেছেন। তিনি লিখেছেন, গত মাসে তাদের কনিষ্ঠতম সন্তান অলিভিয়া জন্ম নিয়েছে। তারা দু’জনই আরও অনেক সন্তান চান। ঘরে অন্তত ১০৫টি সন্তান দেখার স্বপ্ন দেখেন এ দম্পতি।
ক্রিস্টিনার মতো বাচ্চাপ্রেমী জীবনসঙ্গী পেয়ে আপ্লুত গালিপ। তাই তো স্ত্রীর স্বপ্নপূরণের সঙ্গী হয়েছেন তিনিও। সূত্র: আইরিশ মিরর, আনন্দবাজার পত্রিকা