স্টাফ করেসপন্ডেন্ট : আপডেট: ১০:১৪ অপরাহ্ণ, ২৪ জুলাই ২০১৫, শুক্রবার
আশুলিয়ায় গার্মেন্টকর্মী এক তরুণীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের পর ময়মনসিংহের একটি যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দিয়েছে প্রতারক চক্র। শুক্রবার ভুক্তভোগী তরুণীকে উদ্ধার ও জড়িতদের মধ্যে দুই জনকে আটক করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, আশুলিয়ার শিমুলিয়া এলাকা থেকে এক গার্মেন্টকর্মী তরুণীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে উধাও হওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার রাতে আশুলিয়ার নবীনগর প্রতারক প্রেমিক দুই জনকে আটক করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ। পরে তাদের দেয়া তথ্যমতে ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানার একটি ভাড়া বাসা হতে শুক্রবার দুপুরে তরুণীকে উদ্ধার করা হয়।
আটকরা হলেন- মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর থানার কোটকান্দি গ্রামের মকর আলীর ছেলে সেন্টু হোসেন শাকিল (২৫) ও চাদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার সাহেবগঞ্জ গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে আলমগীর হোসেন (২৬)।
ভুক্তভোগী নারী শ্রমিক জানান, ২/৩ মাস আগে নবীনগরের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ঘুরতে এসে প্রতারক শাকিলের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে তা প্রেমের সম্পর্কে রূপ নেয়। একপর্যায়ে গত ১৭ জুলাই শুক্রবার তাকে কৌশলে ঈদের বাজার করে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে আশুলিয়ার জিরানী বাজারে ডেকে নেয় শাকিল। পরে শাকিল, আলমগীর ও রাশেদসহ চার/পাঁচ জন তাকে একটি প্রাইভেট গাড়িতে করে ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানাধীন রিমি নামে এক নারীর বাসায় আটকে রাখে। জোর করে ধর্ষণের পর তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে রিমি নামের ওই নারীর কাছে বিক্রি করে দেয়। পরে রিমি তাকে যৌনকাজ করতে বাধ্য করে।
এ ব্যাপারে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল আজিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘নিখোঁজ সালমা আক্তারের বড় বোন শিউলি আক্তার বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলা তদন্ত সাপেক্ষে প্রথমে আশুলিয়ার নবীনগর থেকে প্রতারক শাকিল ও আলমগীর নামের দু’জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর ওই নারী শ্রমিককে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। উদ্ধারকৃত ওই তরুণীকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।’
আটকদের বিরুদ্ধে আইনী প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।
চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/এমআরআর/২০১৫
চাঁদপুর টাইমস ডট কম–এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি