চাঁদপুরে দক্ষিণাঞ্চলের তরমুজের ব্যাপক সরবরাহ বেড়েছে। পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ইফতারে রসালো ফল হিসেবে বিশেষ চাহিদা রয়েছে এই তরমুজের। প্রতিদিন ১০-১৫টি বাল্কহেডে করে চাঁদপুর শহরের চৌধুরীঘাটে নিয়ে আসা হচ্ছে তরমুজ। আর সেই তরমুজ চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলার মানুষের চাহিদা মেটাচ্ছে। তরমুজের সরবরাহ বাড়ায় কর্মব্যস্ততা বেড়েছে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের।
প্রতিটি নৌযানে পাঁচ হাজার থেকে ১০ হাজার তরমুজ আসে। পাইকাররা এখান থেকে তরমুজ কিনে চাঁদপুরের উপজেলাগুলোসহ বিভিন্ন জেলায় ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহনে সরবরাহ করে। ভোলা, পটুয়াখালী, রাঙ্গাবালী ও বরিশাল থেকে চাঁদপুরে বেশী তরমুজ আসে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
কামাল হোসেন নামের এক তরমুজ চাষি জানান, এবার তরমুজের ব্যাপক ফলন হয়েছে। কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে ক্ষতিও হয়েছে। জমিতে বৃষ্টির পানি আটকে থাকায় তরমুজের গায়ে দাগ পড়ে গেছে। যার কারণে জমি থেকে তরমুজ আনতে আনতেই পচে যায়। এখন যদি তরমুজ সঠিক সময়ে বিক্রি না করতে পারি, তাহলে আমাদের অনেক ক্ষতি হবে।
চাঁদপুর ১০ নং চৌধুরী ঘাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আলী সিকদার চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘সরবরাহকৃত তিন শ্রেণির তরমুজের দাম পৃথকভাবে নির্ণয় করা হয়। বড় আকারের ১০০ তরমুজের দাম ২৬ থেকে ৩০ হাজার টাকা। এছাড়া মাঝারি ধরনের তরমুজ ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকা। আর ছোট তরমুজ আট থেকে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’
প্রতিবেদক: শরীফুল ইসলাম, ২৯ মার্চ ২০২৩