চাঁদপুর সদর উপজেলার তরপুরচন্ডী ইউনিয়ন ননদ এবং খালা শাশুরির নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন নার্গিস বেগম (৩০) নামের এক গৃহবধূ। ২১ মার্চ সোমবার দুপুর ১৩ টায় ইউনিয়নের কাশিমবাজার জমাদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ননদ ও খালা শাশুড়ি মিলিয়ে তিন সন্তানের জননী নার্গিস বেগমকে বেদম পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে এবং তার মাথা ফাটিয়ে দেয়। পরে তার ডাকচিৎকার শুনে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করায়।
নার্গিস বেগম পাশ্ববর্তী কল্যাণপুর ইউনিয়নের আমানুল্লাপুর গ্রামের হতদরিদ্র শাহ আলম হাওলাদারের মেয়ে। তার স্বামীর নাম টেলু জমাদার।
এ বিষয়ে গৃহবধূ নার্গিস বেগম জানান সোমবার সকালে তার শিশু কন্যার সাথে ননদের মেয়ে খেলা করছিলো। খেলতে গিয়ে দুই শিশু ঝগড়া হয়। এটিকে কেন্দ্র করে তার ননদ রোকসানা বেগম (রেসমি) বাঁশের লাঠি নিয়ে শিশু মেয়েকে মারতে আসে। বিষয়টি দেখতে পেয়ে তার শশুর করিম জমাদার মেয়ে রোকসানাকে বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রোকসানা বেগম সেই লাঠি দিয়ে নার্গিস বেগমকে আঘাত করে। সাথে সাথে নার্গিস বেগম মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এসময় তার খালা শাশুড়ি সাজু বেগম ও ননদ রেকসানা মিলে নার্গিস বেগমকে ব্যাপক পিটিয়ে আহত করে।
নার্গিস বেগমের ভাই সোহেল হাওলাদার জানান, এই পরিবারের লোকেরা প্রায়ই আমার বোনকে নির্যাতন করে। কয়েক বছর আগেও তাদের নির্যাতনের বিষয়ে আমরা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। ওই সময়ে সাবেক পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার স্যার তাদেরকে ডেকে এনে সাশিয়ে ছিলেন। তারা বলেছিল আর কোনদিন আমার বোনকে নির্যাতন করবে না। কিন্তু শামসুন্নাহার ম্যাডাম চলে যাওয়ার পর থেকে তারা বিভিন্ন সময় আমার বোনকে নির্যাতন করছে। এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করবেন বলে জানান সোহেল হালাদার।
প্রতিবেদক: আশিক বিন রহিম, ২১ মার্চ ২০২২