প্রাচ্যের অক্সফোর্ড নামে খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০তম সমাবর্তনে গোল্ড মেডেল পেয়েছেন চাঁদপুরের মতলব উত্তরে ছেংগারচর উচ্চ বিদ্যালয়ের এক কালের কৃতি শিক্ষার্থী রোমানা পাপড়ি। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের‘পালি এন্ড বুদ্ধিষ্ট স্টাডিজ’র ছাত্রী ছিলেন।
গত ২৫ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০তম সমাবর্তনে তাকে এ পদক দেয়া হয়। রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো.আবদুল হামিদ সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করেন।
কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ওয়োস্টোর্ণ অন্টারিওর প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক অমিত চাকমা সমাবর্তন বক্তৃতা প্রদান করেন । শুধু গোল্ড মেডেল নয় তিনি তার মেধা, প্রজ্ঞা ও সৃজনশীলতার মাধ্যমে ডীনস্ এওয়ার্ড সহ আরো অনেক শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি নিয়ে আলো ছড়াচ্ছেন।
পাপড়ির শিক্ষক বাবার সর্ব কনিষ্ঠ মেয়ে। বাবা যদিও এ সুখকর সময়ের অংশীদার হতে পারেন নি। চলে গেছেন আরও আগে না ফেরার দেশে। মা,ভাই-বোনের স্বপ্ন পূরণ করতে একটুও কৃপণতা করেন নি । পাপড়ির এ কৃতিত্বে তার পরিবার অত্যন্ত আনন্দিত।
পাপড়ির মা তার মেয়ের এ সফলতার প্রসঙ্গে বলেন,‘আমি আমার মেয়ের জন্যে গর্বিত। নিজেকে আজ পৃথিবীর সেরা মা বলে মনে হচ্ছে।’
শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন,‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা জীবনে সবথেকে বেশি অনুপ্রেরণা আর উৎসাহ পেয়েছি শিক্ষকদের কাছ থেকে। অভিভাবকের মত করে ছায়া পেয়েছি যেকোনো সময়ে-অসময়ে। আজকের বিশেষ দিনে শিক্ষকদের পাশে থাকতে পেরে নিজেকে খুব গর্বিত মনে হচ্ছে। অসংখ্য ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় স্যার-ম্যামদের।’
পাপড়ির এ সফলতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া চাঁদপুরের এক শিক্ষার্থী বলেন,‘আমরা তার এ অর্জনে অত্যন্ত আনন্দিত। সে আমাদের সকলের জন্যে আর্দশ।’
পাপড়ির বাড়ি মতলবের আদুরভিটির ভুইঁপুর গ্রামে। বাবার নাম মৃত আমির হোসেন মাস্টার। তিনি ইমামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। ২০০৬ ছেংগারচর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পাপড়ি এসএসসি পাশ করেন।
এছাড়াও তিনি বিভিন্ন কাজের জন্যে বিভিন্ন পদকে ভূষিত হন। তারমধ্যে বিএনসিসি এবং রোভার স্কাউট পদক উল্লেখযোগ্য ।
নিউজ ডেস্ক
আপডেট,বাংলাদেশ সময় ৯:৩০পিএম,১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭,বৃহস্পতিবার
এজি/ডিএইচ