দেশের চারটি সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। ১১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের মত সকাল থেকে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ফরম সংগ্রহ ও জমা প্রদান করেন তারা।
সকাল থেকেই নয়াপল্টন এলাকায় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ব্যাপক শোডাউন করেন। প্রত্যেকেই দলের মনোনয়ন পাবার বিষয়ে বেশ আশাবাদী ছিলেন।
এদিকে, শুক্রবার ঢাকা-১৮ আসনের উপ-নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশি, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের কৃতিসন্তান, জাতীয়তাবাদী কর আইনজীবি ফোরামের সভাপতি, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী মো.আব্বাস উদ্দিন দলীয় নেতাকর্মী ও আইনজীবিদের সাথে নিয়ে বিএনপির কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা প্রদান করেন।
ঢাকা ট্যাক্সেসবার এসোসিয়েশনের সাবেক দুই বারের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট আব্বাস উদ্দিন বর্তমানে বাংলাদেশ ট্যাক্সেসবার ল’ইয়ার এসোসিয়েশনের মহসাচিবের দায়িত্ব পালন করছেন। সর্বশেষ অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্যানেল থেকে প্রতিদ্ব›দ্বীতা করেন এ আইনজীবি নেতা। বৃহত্তর কুমিল্লা কর আইনজীবি কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও বৃহত্তর কুমিল্লা আইনজীবী কল্যাণ সমিতির সাবেক সভাপতি ছিলেন তিনি।
জানা যায়, ছাত্রজীবন থেকে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত অ্যাডভোকেট আব্বাস উদ্দিন। বিএনপির দলীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নে তিনি ছিলেন অগ্রগামী। বিশেষ করে রাজধানীতে আইনজীবিদের পক্ষ থেকে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দেওয়া সকল কর্মসূচি বাস্তবায়নে তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া কারাবন্দী থাকা অবস্থায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে জাতীয়তাবাদী ঘরানার আইনজীবিদের সংগঠিত করে খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন কর্মসূচি বেগবান করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি। এছাড়া, বিভিন্ন সেমিনার-সিম্পোজিয়ামে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও কারাগার থেকে তার মুক্তি দাবি করে আসছিলেন আইনজীবী নেতা আব্বাস উদ্দিন।
বিএনপির দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমাদানের পর অ্যাডভোকেট আব্বাস উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি দলের স্বার্থে সব সময় কাজ করেছি। বিশেষ করে আইনজীবিদের সংগঠিত করে খালেদা জিয়ার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তির দাবীতে আন্দোলন করে আসছিলাম। সব সময় চেষ্টা করেছি সরকারের দমন নিপিড়নের শিকার বিএনপির নেতাকর্মীদের পাশে থাকাতে। দুঃসময়ে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি জনগনের পাশে ছিলাম।’
নির্বাচনে প্রার্থীতার বিষয়ে অপরএক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ঢাকা-১৮ আসনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মূলত বিএনপির নেতাকর্মী ও আইনজীবিরা চাওয়ায় ঢাকা-১৮ আসনের উপ-নির্বাচনে বিএনপি থেকে আমি মনোনয়ন প্রত্যাশি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয়, দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে আমি ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করে বিএনপি চেয়ারপার্সন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে উপহার দিতে পারবো, ইনশাআল্লাহ’।
প্রতিবেদক:আতাউর রহমান সোহাগ,১১ সেপেটম্বর ২০২০