সারাদেশ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মরে যাচ্ছে গাছপালা

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে কুমিল্লার বিভিন্ন অংশে অবাধে ফেলা ময়লা-আবর্জনার বিষাক্ত বর্জ্যে পরিবেশের উপর মারাত্মক বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এতে করে মরে যাচ্ছে গাছপালা, দূষিত হচ্ছে পানি। বর্জ্যের বিষাক্ত পানিতে মহাসড়কের পাশে ফসলী জমি, আর পুকুরের জলে মিশে ক্ষতি হচ্ছে ফসল ও মাছসহ বিভিন্ন জলজ প্রাণীর।

এদিকে বছরের পর বছর এভাবে জমানো ময়লার দুর্গন্ধে যানবাহন ও পথচারীদের দুর্ভোগও চরমে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের প্রায় ১’শ ৪ কিলোমিটার অংশ পড়েছে কুমিল্লায়। হাইওয়ে পুলিশ সুত্রে জানা যায়, প্রতিদিন এই মহাসড়কে সারাদেশ থেকে আসা কমপক্ষে ২৬/২৭ হাজার বিভিন্ন শ্রেনীর যানবাহন চলাচল করছে।

গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়কের পাশে জেলার দাউদকান্দি উপজেলা থেকে চৌদ্দগ্রাম পর্যন্ত এই ১’শ ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক পথের ২০/২৫টি স্থানে রাতে দিনে মিনিট্রাক, কাভার্ডভ্যান, ভ্যান, রিক্সাসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে বিপুল পরিমান ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। এতে দিন দিন দুর্ভোগ বাড়ছে যানবাহনের চালক, যাত্রী ও পথচারীদের।

আর ময়লা আবর্জনা পঁচে,গলে সৃষ্ট বিষাক্ত বর্জ্য থেকে নিঃসৃত পানিতে হুমকীর মুখে মহাসড়কের পাশে থাকা গাছপালা, ফসলী জমি, পুকুরের মাছ।

জেলার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের নাজিরাবাজার এলাকায় মহাসড়কের পাশে এভাবেই অপরিকল্পিতভাবে ময়লা আবর্জনা ফেলায় এখানকার গাছগুলো মরে যাচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক গ্রামবাসী জানান, মহাসড়কের পাশে কুমিল্লা সদর ও বুড়িচং উপজেলার একাধিকস্থানে গড়ে উঠা হোটেল-রেষ্টুরেণ্ট, আবাসিক হোটেল, বহুতল ভবনের ময়লা-আবর্জনা প্রতিদিন এভাবে ফেলায় নাজিরা বাজারের মত আরো অনেকস্থানে ময়লা আবর্জনার স্তুপ জমে পরিবেশ নষ্ট করে ফেলেছে।

স্থানীয়রা মনে করছেন, যানবাহনের যাত্রীরা দ্রুত চলে যাওয়ায় খুব একটা দুর্ভোগ না পোহালেও পথচারী কিংবা স্কুল ভ্যান, রিক্সা, সাইকেল আরোহীদের অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

তারা আরো বলেন, এভাবে ময়লা আবর্জনা ফেলায় এর বিষাক্ত বর্জ্যে মহাসড়কের নাজিরাবাজার এলাকায় গাছপালা মরে যাচ্ছে। প্রভাবশালীদের ভয়ে প্রতিবাদ করতেও সাহস পাচ্ছেনা কেউ।

তারা মনে করেন, এখনই মহাসড়কের পাশে ময়লা আবর্জনার ভাগাড় বন্ধে প্রয়োজনীয় বাবস্থা না নিলে বৃক্ষ শুন্য হয়ে যাবে মহাসড়কের দু’পাশ। প্রতিদিন এভাবে ময়লা আবর্জনা ফেলা বন্ধে স্থানীয় লোকজন পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

এদিকে পরিবেশ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক কামরুজ্জামান সরকার এবিষয়ে তেমন মন্তব্য করতে রাজি হন নি।

কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ড.আহাদ উল্লাহ বলেন, বিষয়টি জেলা সমন্বয় কমিটির সভায় একাধিকবার জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদক:জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল,২৫ নভেম্বর ২০১৯

Share