ফরিদগঞ্জ

ঢাকাস্থ ফরিদগঞ্জ উপজেলা সমিতির কতৃক জিপিএ-৫ শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

ঢাকাস্থ ফরিদগঞ্জ উপজেলা সমিতির আয়োজনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানের ১৯৩ জন জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা, সম্মাননা সনদ ও শিক্ষা বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকালে ফরিদগঞ্জ উপজেলা অডিটরিয়ামে ঢাকাস্থ ফরিদগঞ্জ উপজেলা সমিতি আয়োজিত সভায় সমিতির সভাপতি সাবেক এমপি আলহাজ্ব ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে, যুগ্ম সাধারন সম্পাক মো.বিল্লাল হোসেন সাগর ও সাংবাদিক রাসেল হাছানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্রগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান।

প্রধান অতিথি বিভাগীয় কমিশনার মো.আব্দুল মান্নান তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের মধ্যে ফরিদগঞ্জ উপজেলা মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের এক উর্বর ভূমি। এই অনুষ্ঠানে অনেক মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে উপস্থিত হতে পেরে আমি অনন্দিত ও গর্বিত। পাশাপাশি শিক্ষার মান উন্নয়নে বর্তমান সরকারের পাশাপাশি এই সংগঠনের এই উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এই ধরনের অনুষ্ঠানে মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মেধা ও মানুষিকতা পরিবর্তন ঘটবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী’র অক্লান্ত পরিশ্রমের মূল্য দিয়ে আমরা একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চাই। যে যেই অবস্থানে আছে সেই অবস্থান থেকেই এই মানুষিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে। বর্তমানে দেশের শিক্ষার হার অনেক গুন বেড়েছে। সরকার বিনা বেতনে লেখাপড়ার সুযোগ করে দিচ্ছে, বিনামূল্যে বই দিচ্ছে তাই আজ অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৫ কোটি। যাহা বিশ্বের ৫৫ টি দেশের জনসংখ্যার চেয়েও বেশী।

তিনি আরো বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার মান উন্নয়নে শিক্ষকদের কে বেশী করে পড়া লেখা করতে হবে। নিজের মধ্যে জ্ঞানের পরিধি থাকলেই তাহা অন্যকে বিলিয়ে দেওয়া যাবে। ছাত্র-ছাত্রীদের মোবাইল ফোন থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেন তিনি।

বিশেষ অতিথি জেলা প্রশাসক মাজেদুর রহমান খান তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমান প্রজন্ম ইন্টারনেট ব্যবহার করে অনেক এগিয়ে যাচ্ছে, কোন কিছু লেখার প্রয়োজন মনে হলে কম্পিউটার অথবা মোবাইলে টাইপ করে। ছাত্র-ছাত্রীরা হাতের লেখা দিন দিন ভুলে যাচ্ছে। আমাদের সময় আামরা পড়া পাশাপাশি লেখা লেখিতে অব্যস্ত ছিলাম। গত কয়েকদিন আগে একটি ছেলেকে দিয়ে ছিলাম তার বাবার নাম লিখতে কিন্তু সে হাতে না লিখে বলে মোবাইলে টাইপ করে দিলে হবে না।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান, ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড. জাহিদুল ইসলাম রোমান, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী, সাধারন সম্পাদক আবু সাহেদ সরকার, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও সমাজ সেবক হাজী আব্দুল আহাদ।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আলী আফরোজ, সমাজ সেবা কর্মকর্তা সাহাদাত হোসেন, উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ওয়াহিদুর রহমান রানা, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জি এস তছলিম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যন মাজুদা বেগম, জেলা পরিষদের সদস্য মশিউর রহমান মিটু, সাইফুল ইসলাম রিপন, ফরিদগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) ওয়াহিদুর রহমান, গৃদকালিন্দিয়া হাজেরা হাসমত ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মো. মহিব উল্যা খান, ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. এ.কে.এম মাহাবুবুর রহমান, লাউতলী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডা. আব্দুর রশিদ, ফরিদগঞ্জ এ আর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল আমিন কাজল, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক হাজী শফিকুর রহমান, মহিউদ্দিন ভূঁইয়া ইরান, আকবর হোসেন মনির প্রমুখ।

প্রতিবেদক:মো.শিমুল হাছান,২৬ নভেম্বর ২০১৯

Share