টানা কয়েকদিনের তীব্র তাপদাহ শেষে চাঁদপুরের মানুষ দেখা পেলো স্বস্তির বৃষ্টি। হঠাৎ এক পশালার বৃষ্টিতে মানুষের মধ্যে নেমে এসেছে সস্তি। এতে রাস্তায় থাকা কর্মজীবী মানুষজন কিছুটা বিপাকে পড়লেও তাদের চেহারায় স্বস্তির বিপরীতে কষ্টের কোনো চাপ লক্ষ্য করা যায়নি।
বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ঘণ্টাব্যাপি বৃষ্টি হয়েছে, সাথে সামান্য শীতল হয়েছে মানুষের কিছুটা শরীর। বৃষ্টির সাথে সাথে দেখা মেলে ঠাণ্ডা বাতাসের।
সেই সাথে অনেক পথচারীদের বৃষ্টিতে ভিজতে দেখা যায়। অঠাৎ এমন বৃষ্টিতে অপ্রস্তুত শহরবাসী বিপাকে পড়েন। বিশেষ করে রাস্তার পাশের ফুটপাতের দোকানীদের মালামাল ভিজে যায়। তাও স্বস্তির বৃষ্টিতে অনেকে খুশি। বৃষ্টি থেকে গেলে শুরু হয় গরমের তাপদাহ। সামান্য বৃষ্টি যেনো অনেকের মুখে হাসি ফুঁটিয়েছে।
এদিকে তীব্র তাপদাহের মধ্যে সামান্য স্বস্তির বৃষ্টিতে চাঁদপুর শহরে যানজট লক্ষ্য করা যায়। কালীবাড়ি থেকে বিপণীবাগ বাজার পর্যন্ত যানজট ছিলো চোখে পড়ার মত।
বুধবার বিকেলে খানেকের মাঝারি বৃষ্টিতে সস্তি ফিরেছে জনজীবনে।
চাঁদপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেবক্ষক মো. লিয়াকত হোসেন চাঁদপুর টাইমসকে জানান, বুধবার বিকেলে ৩৫ মিনিটে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১৮ মিলিমিটার। এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৩৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বোনি¤œ তাপমাত্রা ২৮.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ]
অন্যদিকে চাঁদপুরে কয়েকদিন ধরে বইছে তীব্র তাপদাহ। তাপমাত্রা উঠানামা করছিল ৩৬ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। ব্যাহত হয় মানুষের স্বাভাবিক কাজ। তীব্র গরমে বৃদ্ধ ও শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ে।
গত ৪ দিনে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে প্রায় দু’শতাধিক শিশু রোগী ভর্তি হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ আসিবুল আহসান চৌধুরী।
প্রতিবেদক- শরীফুল ইসলাম