Home / বিশেষ সংবাদ / আধুনিক ‘হাজীগঞ্জের রূপকার’ হিসেবে পরিচিত ড.আলমগীর
Dr Alomgir Kabir Patwary
Dr Alomgir Kabir Patwary

আধুনিক ‘হাজীগঞ্জের রূপকার’ হিসেবে পরিচিত ড.আলমগীর

হাজীগঞ্জের মকিমাবাদ গ্রামে জন্ম নেয়া আলমগীর কবির পাটওয়ারী আধুনিক হাজীগঞ্জের রূপকার হিসেবে আজ জনমনে স্থান করে নিয়েছে । মা-বাবর প্রিয় ডাক নাম ‘ আলমগীর’। বর্তমানে আলমগীর স্যার হিসেবে পরিচিত। বিশেষ করে পিতামহ,পিতা-মাতার নেক দোয়া, স্নেহধন্যে ও পরম ভালোবাসায়, মেধা, মননে, শিক্ষা-দীক্ষায়, কর্মে, সাহস, সঠিক নেতৃত্বে বেড়ে উঠা, কর্মঠ, ধৈর্যশীল, প্রতিভাবান, সৃজনশীল, সৎ ও আদর্শবান ব্যাক্তিত্বের অধিকারী হওয়ায় তিনি আজ শিক্ষাবিদ,মডেল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ,হাজীগঞ্জ বড় মসজিদের মোতওয়াল্লী,জেলার শিক্ষক নেতা,জাতীয় ও আঞ্চলিক ইস্যুতে অসংখ্য প্রবন্ধ লেখক, হাজীগঞ্জ প্রেস ও রোটারী ক্লাবের স্বপ্নদ্রষ্টা,আধুনিক হাজীগঞ্জের রূপকার হিসেবে খ্যাত ও শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ ড.মো.আলমগীর কবির পাটওয়ারী। ১৯৫৭ সালে হাজীগঞ্জের‘ মকিমাবাদ’ গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলীম পবিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।

হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ ও আহমদিয়া দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসা ও ওয়াকফ এ্যাস্টেট এর প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব আহমদ আলী পাটোয়ারী রহ. হলেন- তাঁর পিতামহ বা দাদাজান।ক্ষণজন্মা, মানব হিতৈষী ও প্রতিষ্ঠাতা মোতাওয়াল্লী আলহাজ্ব আহমদ আলী পাটোয়ারী রহ.র সুযোগ্য পুত্র হাজীগঞ্জের ক্ষুদ্র শিল্প বণিক ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ও পরবর্তী মোতওয়াল্লী আলহাজ্ব মনিরুজ্জামান পাটওয়ারী রহ.’র জ্যেষ্ঠ্যপুত্র শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ ড. আলমগীর কবির পাটওয়ারীই আধুনিক হাজীগঞ্জের রূপকার’ হিসেবে তিনি সমধিক পরিচিতি লাভ করেছেন। স্কুল জীবনে তিনি কবিতা লিখায়, দেয়ালিকা প্রকাশ, আর্টে পারদর্শি ও মেধাবী ছাত্র ছিলেন। সবর্দাই যে কোনো কাজে ধৈর্যশীল, সহমর্মিতা, সহনশীল,বিচক্ষণ,আত্মপ্রত্যয়ী, ধীরস্থীর সম্পন্ন, চিন্তাশীল, পরোপকারী। বর্তমানে দেশের প্রগতিশীল রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব। হাজীগঞ্জের উন্নয়নে সকল ভালো কাজেই তিনি সফলতা অর্জন করেন্।

প্রতিটি বিষয়ের ক্ষেত্রে যেমন একটি প্রেক্ষাপট থাকে। ঠিক তেমনি একটি সংগঠন কিংবা কোন প্রতিষ্ঠান, প্রতিষ্ঠা পাওয়ার লক্ষ্যে যে কোনো কারণ বা বিষয়ের সূত্রধরে আস্তে আস্তে পরিসর বা ব্যাপ্তির দিকে এগুতে থাকে। কোনো এক ব্যাক্তির শিক্ষা-দীক্ষা, ধর্মীয়-ও সামাজিক কর্মকান্ডে অবদান, শিক্ষা, ব্যবস্া-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অবদান, কর্মসংস্থান সৃষ্টি প্রভৃতির ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্যেই একজন ব্যাক্তিকে সম্মানসূচক উপাধীতে ভূষিত হয়ে উঠেন। সে বিচারেই শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ ড. মো.আলমগীর কবির পাটওয়ারীকে আধুনিক হাজীগঞ্জের রূপকার হিসেবে আখ্যায়িত করেন হাজীগঞ্জেরই ক’জন বরেণ্য ব্যাক্তিবর্গ। জেলার ব্যবসায়ীদের প্রাণ কেন্দ্র এখন হাজীগঞ্জ। হাজীগঞ্জ ধন্য হাজীগঞ্জ ; ঐতিহাসিক বড় মসজিদের জন্যে। ঐতিহাসিক বড় মসজিদ শতাব্দীকাল ধরে হাজীগঞ্জের ‘ব্র্যান্ড’। হাজীগঞ্জ বলতেই বড় মসজিদের কথা মনোস্পটে ভেবে উঠে। তাই এটিই হাজীগঞ্জের পরিচিতি।

বড় মসজিদ কেন্দ্রিক হাজীগঞ্জ বা হাজীগঞ্জ বাজার হচ্ছে -হাজীগঞ্জ উপজেলার প্রাণ কেন্দ্র। গ্রামের নাম মকিমাবাদ হওয়া সত্ত্বেও জনশ্রুতি মোতাবেক শতাব্দীকাল ধরেই বাজার এলাকাটি ‘হাজীগঞ্জ’ হিসাবে পরিচিতি লাভ করে আসছে। এর পেছনে রয়েছে একটি ঐতিহাসিক কারণ। এর সাথে-বিশাল কর্মযজ্ঞ, চিন্তা-চেতনা, শ্রম-ঘাম, মেধার সমন্বয়, কর্ম-পরিকল্পনা, সীমাহীন ধৈর্য্য ও বন্ধুর পথ মাড়ানো অধ্যায়ের মোকাবেলা করে সামনে এগিয়ে চলার ধীরচিত্তের অভিপ্রায়।

হাজীগঞ্জের ক্ষুদ্র ও শিল্প বণিক সতিতির প্রতিষ্ঠাতা বড় মসজিদের সাবেক মোতাওয়াল্লী আলহাজ্ব মনিরুজ্জামান পাটওয়ারীর মৃত্যুর পর ১৯৮৫ সন থেকে আলমগীর স্যার া আলহাজ্ব আহমদ আলী পাটোয়ারী রহ.র এস্টেটের ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। কাল ও সময়ের প্রেক্ষাপটেই তিনি হাজীগঞ্জের বিভিন্ন পর্যায়ের কাজ করার সুযোগ পান। প্রয়োজনীয়তার প্রেক্ষাপটে গড়ে উঠে প্রতিষ্ঠান বা সংগঠন । হাজীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতিও এর ব্যতিক্রম নয়। বাজার ব্যবসায়ী সমিতির গঠনের ক্ষেত্রেও একটা দীর্ঘ প্রেক্ষাপট রয়েছে। অধিকাংশ সমিতির গঠনের মত স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় হাজীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতি গঠিত হয়নি । আর রাজনৈতিক উত্তাল অস্থিরতম অস্থিতিশীল পরিবেশের পর্যায়ক্রমিক প্রক্রিয়ায় চূড়ান্ত ফলাফলই হাজীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতি সেদিন সৃষ্টি হয় । রাজনৈতিক সংকটাপন্ন অবস্থায় বাজারের ব্যবসায়ীগণের আর্থিক অবস্থার সাথে সেবার অনন্য প্রতিষ্ঠান বড় মসজিদ কমপ্লেক্সের সেবা ব্যবস্থাপনার বিষয়গুলো সমানভাবে যুক্ত হয় । যার প্রেক্ষিতে সে সময় ব্যবসাহীগলের রাজনৈতিক সংকটাপন্ন অবস্থায় সমস্যার ঢাল হিসাবে তাঁকে সমিতি গঠনের স্বপ্ন দেখতে হয়েছে । স্বপ্ন বাস্তবায়নের চিন্তা করতে গিয়ে অনেক বন্ধুর পথ হাঁটতে হয়েছে তাঁকে।

সে প্রেক্ষিতে হাজীগঞ্জের হাজী হযরত মনিরুদ্দিন মনাই হাজী রা. সুন্নাতে রাসুল হিসাবে গড়ে ওঠা দোকানকে কেন্দ্র করে বড় মসজিদ কেন্দ্রিক ছোট একটি বাজার যা আজকের হাজীগঞ্জ বাজার থেকে হাজীগঞ্জ পৌরসভা ও হাজীগঞ্জ উপজেলা ও হাজীগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন সহ আরো কত কী। এখানে থানা, পোস্ট অফিস,সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ও ডাক বাংলো ইত্যাদি স্থাপিত হয়ে হাজার হাজার মানুষের অন্বেষণের পথ সৃষ্টি হয়েছে ।
আজ ২০২৫ সাল। ৩০ বছর আগেও সি এন্ড বি রাস্তার উপর পাশের কথাই যদি বলা হয়- বড় মসজিদের পশ্চিমে স্টেশন রোড এবং পূর্বে থানা রোড, খাল পাড়ে, টিনপট্টি, হালি পট্টি, ধান পাট্টি, পোস্ট অফিস, বোয়ালজুরী খাল, রাস্তার দক্ষিণ পাশে মসজিদের বিপরীতে প্রায় একশ’ হাতের অধিক লম্বা-লম্বি বিশাল সাধনা ঔষধালয়। তার পূর্বে থেকে চৌ-চালা লেপ তোষাকের জন্য ঘর, টিনের পৌরসভা কার্যালয়, দোকানপাট, স্বনাম ধন্য বাইন্যা পট্টি অর্থাৎ বণিক পট্টি, স্বর্ণকার পট্টি, তরকারী পট্টি, মাছ বাজার,হলুদ-মরিচ পট্টি, পান, সুপারি সাদা ইত্যাদি পণ্যের বড় বড় গদি ঘর। এক পর্যায়ে ব্যবসায়ী সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়ে এর অভীষ্ট লক্ষ্যে কাজ করতে সামনে এগিয়ে চলা শুরু করে।

জেলার উন্নয়নের গতি সম্মুন্নত রাখতে প্রয়োজন-বিদ্র্যুত। আধুনিক বিশ্ব বিদ্যুত ব্যতীত অচল্। সেই বিদ্যুতের জেলার হেড অফিস স্থাপিত হয় হাজীগঞ্জ। আধুনিক হাজীগঞ্জে নতুনভাবে যুক্ত হলো-পোশাক বা গার্মেন্স পণ্য বিক্রির অগণিত বিপনন। অল্প সময়ের মধ্যে ভরাট হয়ে পর্যায়ক্রমে চার দিকের দোকান পাট বেড়ে বর্তমানে বাজার ৪-৫ গুণ বড় হয়েছে। বিশ-পঁচিশ বছর আগেও মানসম্পন্ন দ্রব্য কিনতে যেতে হতো চাঁদপুর,কুমিল্লা বা ঢাকায়। চাঁদপুরের লাভলী স্টোর, নবী স্টোর ইত্যাদিতে। তা’ছাড়াও মান সম্পন্ন সার্ট পেন্ট বানানোর জন্য কুমিল্লা কান্দির পাড় চৌরঙ্গী মার্কেটের দোতলায় আলপনা ট্রেইলার্সে যেতে হতো। আজ বলার অপেক্ষা রাখে না যে – বড় মসজিদ কমপ্লেক্সের উন্নয়নের গতি-ধারায় আজ-কাল, কেনা কাটার ক্ষেত্রে হাজীগঞ্জ এর চিত্রে ভিন্নতা এসেছে। বাজারের প্রধান উপলক্ষ্য হচ্ছে- আজকের স্বগৌরবে দাঁড়িয়ে থাকা হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ। হাজীগঞ্জের ‘ ব্রান্ড’ বড় মসজিদ।

হাজীগঞ্জ বলতে বড় মসজিদ কেন্দ্রিক হাজীগঞ্জ বাজার এলাকাকে বুঝায় যে কোনো এলাকায় মানুষের আগমনের উপর ব্যবসা নির্ভর করে। বাজারে মানুষের আগমন বাড়লে ব্যবসা বাড়ে। ব্যবসা ভাল হলে- মালিক, ভাড়াটিয়া তথা ব্যবসায়ীগণ ভাল থাকেন। তিনি মোতওয়াল্লী হিসাবে আজ থেকে প্রায় ৪০ বছরের মত হলো -বড় মসজিদের দায়িত্ব গ্রহণের সময় বড় মসজিদে আলো-বাতি এবং নামাজের ব্যবস্থাপনা চালানোর মত টাকার বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আর্থিক যোগান, বার দেনা, ঋণ কর্য করে উন্নয়ন কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হয়েছে। বাজারটিতে সর্বপ্রথম বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করেন তাঁর পূর্বপুরুষ আহমাদ আলী পাটওয়ারী রহ.।

যার ফলশ্রুতিতে জনমনে ফুটে উঠেছে আধুনিকতার ছোঁয়ায় হাজীগঞ্জের মার্কেটে সে সময় সুইজারল্যান্ড থেকে আমদানীকৃত স্কেলেটর,লিফট এবং অর্নামেন্টাল ভবন নির্মাণ করে ‘হাজীগঞ্জ প্লাজা ’ সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ভবনে লিফট এস্কেলেটর দেখা এবং উঠার জন্য মানুষের অস্বাভাবিক ভিড় সামলাতে হয়েছে দেড় থেকে দু’মাস পর্যন্ত । যেখানে দেশের সকল বিভাগীয় শহরেও এসকেলেটর বা চলন্ত সিড়ির ব্যবহার শুরু হয় নি। সে সময় হাজীগঞ্জে এসকেলেটরের ব্যবহার হাজীগঞ্জকে অনন্য উচ্চতায় উঠাতে গিয়ে,ঝুঁকি নিয়ে লিন্ট এসকেলেটর বা চলন্ত সিড়ি স্থাপন করেন আজকের আধুনিক হাজীগঞ্জে রূপকার হিসেবে পরিচিত ড. আলমগীর কবির পাটওয়ারী। যার ফলে হাজীগঞ্জ সহ সকল আশ-পাশের নারী-পুরুষ,স্কুল,কলেজ ও মাদ্রসা পড়ূয়া ছাত্র-ছাত্রীসহ সকল ধরনের ক্রেতা-বিক্রেতা সমাগম দিন দিন বেড়েই চলছে। সব কিছুর সংমিশ্রণে আজ হাজীগঞ্জ উন্নত, সমৃদ্ধ ও আধুনিক হাজীগঞ্জ হিসেবে রূপলাভ করেছে।

অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জীবন মানের পরিবর্তনের লক্ষ্যে বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্যে চিন্তা করা শুরু করেন। হাজীগঞ্জে বড় মসজিদ কেন্দ্রিক গড়ে উঠা ৭ তলাভীতের কওমী মাদ্রাসা, কামিল মাদ্রাসা, মুনিরিয়া নুরানী মাদ্রাসা ও হযরত মনিরদ্দিন মনাই হাজী হাফেজিয়া মাদ্রসা,হাজীগঞ্জ প্লাজা, হাজীগঞ্জ টাওয়ার, বেইসমেন্টসহ হ্যাল্যিাড পর্যন্ত অত্যাধূনিক ১৪ তলা ভীতের মকিমউদ্দিন বিজনেজ পার্ক ও শপিং সেন্টার,মডেল হাসপাতাল, রজনীগন্ধ্যা মার্কেট, ফুড লাভারস পার্টি সেন্টার্র ও মকিমউদ্দিন বিজনেজ পার্কের গ্রাউন্ড ফ্লোরে ক্রেতা-বিক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের জন্যে সংযোজিত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা এর বাস্তব উদাহরণ। এ সব মিলে হাজীগঞ্জ তথা হাজীগঞ্জে সর্বস্তরের ব্যবসায়ী মহলসহ প্রায় ৫০ হাজার মানুষের রুটি-রোজির পথ মহান রাব্বুল আলামিন সৃষ্টি করে দিয়েছেন- যা বলতে দ্বিধা নেই। এর সাথে কয়েক হাজার মানুয়ের বিদেশের পথ প্রসারিত হয়েছে । কতজন পরিবার-পরিজনের বেঁচে থাকার অবলম্বন হলো-তার পরিসংখ্যানও আজকের পাঠদের হাতে ছেড়ে দেয়া হলো।

এর পাশাপশি সৃষ্টি হলো- হাজীগঞ্জের জমি-জমির মূল্য, প্রাবাসীদের জন্যে খোদ-হাজীগঞ্জ বাজারই ২৮-৩০টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখায় প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার আর্থিক লেন-দেনে হাজীগঞ্জ বাজারটি প্রতিদিনই নগদ অর্থের তারুল্যে ভাসতে থাকে। প্রবাসীসহ তাঁদের পরিবার-পরিজন নিয়ে সুখের ঠিকানায় জীবন কাটিয়ে নিজ নিজ সন্তানদের প্রাথমিক থেকে মাস্টারর্স পর্যন্ত উচ্চ শিক্ষা ও মাদ্রাসায় উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে দেশের বড় বড় রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হওয়া ও যোগ্য করে তোলার সব ধরনের ব্যবস্থা বিদ্যমান রয়েছে। সুতরাং পরিবার-পরিজনের স্বপ্ন পুরণে কোনোই বাধা নেই ‘আধুনিক হাজাগঞ্জে’।

কারিগরি জ্ঞান চর্চায় রয়েছে-কারিগরি স্কুল এন্ড কলেজ ও অসংখ্য কম্পিউটার সেন্টার। এ লক্ষ্যে হাজীগঞ্জে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আহমদ আলী পাটওয়ারী রহ.এস্টেট এর অধীন পরিচালিত হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ কমপ্লেক্স এর সূচনা ঘটায় এবং অর্থনৈতিক ণেন-দেন প্রবাহের গতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে। বিগত উন্নয়নের পর্যায়ক্রমিক ধারাবাহিকতায় বিজনেস পার্ক হযরত মকিমউদ্দিন শপিং সেন্টার নির্মাণে হাজীগঞ্জের ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিসর বেড়েছে বর্তমানেও এর অব্যাহত ধারা চলমান রয়েছে। মকিমাবাদের প্রাণ কেন্দ্র হাজীগঞ্জ। সেবার অনন্য প্রতিষ্ঠান হিসাবেই অত্র অঞ্চলে গৌরবোজ্জ¦ল প্রতিষ্ঠান হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ। মসজিদ কমপ্লেক্সের পর্যায়ক্রমিক উন্নয়নে হাজীগঞ্জ আজ ‘আধুনিক হাজীগঞ্জ’ হিসাবে অলংকৃত এবং সমৃদ্ধ।

উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় শুধু হাজীগঞ্জ নয়, হাজীগঞ্জ থানা যা বিকেন্দ্রিকরণের ধারাবাহিকতায় হাজীগঞ্জ উপজেলা । হাজীগঞ্জ উপজেলার অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধিতে সকলে মিলে মিশে কাজ করে যাচ্ছেন। সকল স্তরের জনপ্রতিনিধি রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গের ‘সর্বাত্মক সহযোগিতায়, হাজীগঞ্জ পৌরসভা,হাজীগঞ্জ উপজেলা এবং থানা প্রশাসনসহ সকলের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় সবাই উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ সহঅবস্থানে হাজীগঞ্জের ঐহিত্য এবং সুনাম ধরে রাখার চেষ্টা চালাতে হবে। হাজীগঞ্জ আজ সম্প্রীতির হাজীগঞ্জ। ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক ভাবে ঐতিহাসিক ব্যাক্তিবর্গের শুভাগমনে বড় মসজিদ কেন্দ্রিক হাজীগঞ্জ- আজ সমৃদ্ধ এবং গৌরবাহ্নিত। যা দেশের গন্ডি ছড়িয়ে বিদেশেও সমাদৃত। জনশ্রুতি মোতাবেক দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় পবিত্র মাহে রমজানে সবচেয়ে বড় জুময়াতুল বিদার নামাজ এখানে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। রাজনৈতিক, ধর্মীয় এবং ইতিহাস খ্যাত স্বনামধন্য ব্যাক্তিবর্গের আগমন ঘটেছে বা ঘটে থাকে।

যার প্রেক্ষিতে হাজীগঞ্জ পৌরসভার বাজেট বক্তৃতার এক পর্যায়ে এড.তাফাজ্জল হায়দার নসু চৌধুরী শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ ড.মো.আলমগীর কবির পাটওয়ারীকে “আধুনিক হাজীগঞ্জ এর রূপকার’ হিসাবে প্রথম আখ্যায়িত করেন। যেহেতু হাজীগঞ্জ বলতে বড় মসজিদ কেন্দ্রিক বাজার এলাকাকেই বুঝায়। তিনি তো হাজীগঞ্জ উপজেলার কথা বলেন নি। বলেছেন হাজীগঞ্জের কথা। তিনি অত্যন্ত বড় মনের মানুষ ছিলেন। তিনি এ উপাধী দিয়ে ড. আলমগীরকে উজ্জীবিত ও অনুপ্রাণিত করেছেন। উৎসাহ দিয়েছেন তাঁকে। গুণী মানুষের প্রশংসা না করলে সে সমাজে গুণী তৈরি হয় না। হয়তো এমনটি ভেবেই তিনি তাঁকে “আধুনিক হাজীগঞ্জ এর রূপকার’ হিসাবে আখ্যায়িত করেন। তাঁর এ বক্তব্যে ড.আলমগীর কবির পাটওয়ারী অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত হয়েছেনও। ভালো কাজের প্রতি আরো মনোযোগী হয়েছেন তিনি। সামাজিক সংস্কৃতিক সংগঠন বনফুল সংঘের বার্ষিক সাধারণ সভায় ড.আলমগীর কবির পাটওয়ারী সভাপতির দায়িত্ব পালন করার সময় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুর রশিদ মজুমদার তাঁেক ‘‘আধুনিক হাজীগঞ্জ এর রূপকার” হিসাবে জোরালোভাবে ব্যাখ্যামূলক বক্তব্য দিয়ে অনেক বেশি উৎসাহিত করেছেন।

মেয়র আ.স.ম মাহবুবুল আলম লিপন হাজীগঞ্জ মডেল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী নিয়ে অনুষ্ঠিত এক বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ ড.আলমগীর কবির পাটওয়ারীকে ‘আধুনিক হাজীগঞ্জের রূপকার এর সাথে যুক্ত করেন আরো একটি বিশেষণ। তাহলো- তাঁকে হাজীগঞ্জের ‘আইকন” হিসাবে উপাধিতে সম্মানিত করে মেয়র মহোদয় তাঁর বক্তব্য প্রদান করেন। এ তিনজন ব্যাক্তি হাজীগঞ্জের এক সময়ের জনপ্রিয় ব্যাক্তিত্ব,জনপ্রতিনিধি এবং বড় মনের মানুষ। অন্যকে মর্যাদা দিয়ে,ভাল বলে,প্রশংসা করে তৃপ্তি পান জনপ্রিয় ব্যাক্তিত্ববান পুরুষগণ্। কেননা-বড় মন ছাড়া এটা সম্ভব হয় না। সর্বসাধারণ এবং জনপ্রতিনিধি ব্যক্তিবর্গ তাঁেক আধুনিক হাজীগঞ্জ এর রূপকার হিসাবে সমাদৃত করে শিক্ষাবিদ ড.আলমগীর কবির পাটওয়ারীকে চিরদিন কৃতজ্ঞতার পাশে আবদ্ধ করে রেখেছেন।

শিক্ষাবিদ ড.আলমগীর মোতাওয়াল্লী সমিতি বাংলাদেশ এর মহাসচিব হন। এডভোকেট ঢাকা জেলা বার, সাবেক মোতাওয়াল্লী, হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ কমপ্লেক্স ওয়াক্ফ উন্নয়ন কমিটির সদস্য ও জাতীয় ওয়াক্ফ কমিটির সদস্য। সামাজিক সংগঠনের মধ্যে তিনি প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি চার্টার প্রেসিডেন্ট হাজীগঞ্জ রোটারী ক্লাব, সভাপতি,সাবেক হাজীগঞ্জ উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জামিয়া আহমাদিয়া কাওমী মাদরাসা, সহ-সভাপতি,আহমাদিয়া আলীয়া মাদাসা, প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক সাপ্তাহিক হাজীগঞ্জ,প্রতিষ্ঠাতা ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, হাজীগঞ্জ প্রেস ক্লাব। তিনি একজন শিক্ষা বিষয়ক কলাম লেখক। তাঁর প্রকাশিত বেশ কটি বই রয়েছে। প্রেক্ষাপটের আলোকে’ ও হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ কমপ্লেক্সের উপর-স্মারক গ্রন্থ।

তিনি হাজীগঞ্জ মডেল সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হিসেবে ৩২ বছর মহান শিক্ষকতা পেশায় থেকে হাজীগঞ্জের শিক্ষাবিস্তারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। এ পদে থাকাকালীন সময়ে তিনি চাঁদপুর জেলার বেসরকারি স্কুল , কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের ‘অসবিসংবাদিত ’ শিক্ষক নেতা হিসেবে অখ্যায়িত করেন। কেননা তিনি চাঁদপুর জেলার বেসরকারি স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রাণপ্রিয় শিক্ষক নেতা ও শিক্ষকদের পরম বন্ধু হিসেবে আস্থা অর্জন করেন।

২০১৯ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি হাজীগঞ্জ মডেল সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সফল মহান এ শিক্ষক অত্যন্ত সুনামের সাথে কর্ম-সম্পাদন করে অধ্যক্ষের পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ ড.মো.আলমগীর কবির পাটওয়ারী হাজীগঞ্জ মডেল সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ও এ কলেজের সকল শিক্ষকদের অভিভাবক, একজন সফল শিক্ষাবিদ ও খ্যাতনামা সংগঠক,শিক্ষক নেতা,কলামিস্ট ও সমাজহিতেষী আদর্শবান ব্যাক্তি। হাজীগঞ্জের এ আালোকিত মানুষটি সুস্বাস্থ্য নিয়ে বেঁচে থাকুক সুদীর্ঘকাল।

তথ্য সূত্র : হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ কমপ্লেক্স এর স্মারক গ্রন্থ । সম্পাদনা ও লেখক : আবদুল গনি, শিক্ষক , প্রাবন্ধিক ও সাংবাদিক । ১১ নভেম্বর ২০২৫ ।


১১ নভেম্বর ২০২৫
এজি