অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শুক্রবার যেসব শিশুকে হাসপাতালে আনা হয়েছে তাদের অনেকের শরীরেই মারাত্মক দগ্ধ হওয়া ও ধাতব বস্তুর আঘাতে জখম স্পষ্ট। ইহুদিবাদী ইসরাইলি বাহিনীর পেরেক ভর্তি ড্রোন মিসাইল হামলায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানা গেছে। চিকিৎসকার তাদের বাঁচানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। খবর আল-জাজিরার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ড্রোন মিসাইলগুলোর ভেতরে ঠেসে ভরা থাকে অসংখ্য পেরেক। বিস্ফোরণের সময় সেগুলো দ্রুতগতিতে ছুটে গিয়ে শরীর ভেদ করে ভেতরে ঢুকে যায়। এতে অভ্যন্তরীণ রক্তপাত শুরু হয়, যা অধিকাংশ মৃত্যুর প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গত প্রায় ৪০ দিন ধরে ড্রোন হামলার পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়েছে ইহুদিবাদী ইসরাইলি বাহিনী। এসব হামলা জনবহুল এলাকায় চালানো হচ্ছে— বাজারের রাস্তা, পানি সংগ্রহের লাইনে দাঁড়ানো লোকজন কিংবা কমিউনিটি কিচেন থেকে খাবার নেওয়ার জন্য অপেক্ষমাণ সাধারণ মানুষ—সবাই তাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে।
বর্বর ইসরাইলি সেনাবাহিনী অত্যাধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর অস্ত্র ব্যবহারের দাবি করলেও বাস্তব পরিস্থিতি ভিন্ন কথা বলছে। যেসব এলাকা লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে এবং হতাহতের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে, তা ইসরাইলি বাহিনীর প্রচারের বিপরীত চিত্র উপস্থাপন করছে।
১৮ জুলাই ২০২৫
এজি
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur