হাজীগঞ্জ

হাজীগঞ্জে ড্রেজারে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থে নির্মিত বাঁধ তলিয়ে গেছে

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ৬নং বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের কোন্দ্রা-দিগচাইল-মোল্লাডহর মাঠের ফসলি জমিতে আলী আজগর নামীয় জৈনক ব্যক্তি ড্রেজার বসিয়ে মাটি উত্তোলন করায় বিশ্ব ব্যাংকের অর্থে নির্মিত বাঁধ গর্তে তলিয়ে গেছে।

এমনকি ফসলি জমি থেকে বালু উত্তোলন করায় হুমকির মূখে রয়েছে পাশ্ববর্তী কৃষি জমি। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষকরা।

সরজমিনে গিয়ে জমির মালিক ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, মোল্লাডহর গ্রামের প্রবাসী মীর হোসেন মীরু’র এলাকায় একটি গরুর ফার্ম নির্মান করছেন। ওই ফার্মের গোবর ফেলার জন্য ৩টি ট্যাংকি তৈরি করতে গিয়ে ২০/২৫ ফুট গভীরতা করা হয়। এ জন্য প্রয়োজন হয় প্রচুর পরিমান মাটি। পাশ্ববর্তী মোল্লাডহর মাঠের রাশেদ মিজির ফসলি জমি থেকে মীরু মাটি ক্রয় করেন।

মাঠি উত্তোলন করতে একই এলাকার আজগর হোসেন’র ডৈজার মেশিনটি চুক্তি করেন মীরু। প্রায় দেড় মাস যাবত এই ফসলি জমি থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে পাশের অন্যান্য ব্যাক্তি মালিকানাধীন ফসলি জমিগুলো ভেঙে ধসে যাচ্ছে। এমনকি যেসব জমিতে এখনও ফসল রয়েছে, সেগুলোও ধীরে ধীরে ভেঙে খাড়িতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। সে সাথে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থে নির্মান হওয়া একটি বাঁধও ভেঙে ধসে গেছে।

যদিও বালুমহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ সনের ৬২ নং আইন পাম্প বা ড্রেজিং বা অন্যকোন মাধ্যমে ভূ-র্গভস্থ বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাইবে না। এলাকাবাসীর অভিযোগ আইনকে উপেক্ষা করে কিছু সুবিধাভোগী ব্যাক্তি বর্ষা মৌসুম থেকে থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত এই মাঠের ফসলি জমিতে ড্রেজার মেশিন দিয়ে ৪০/৫০ ফুট গভীর করে বানিজ্যেক ভাবে বালি উত্তোলন করছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত) মো. জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, রবিবার (১১ মার্চ) স্থানীয় তহশিলদারকে সরজমিনে পাঠিয়ে এর সত্যতা পেলে আমি প্রয়োজনীয ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

প্রতিবেদক- জহিরুল ইসলাম জয়

Share