কচুয়ায় ড্রাগন ফল চাষে আক্তার হোসেনের সাফল্য

চাঁদপুরের কচুয়ায় উপজেলায় বিদেশী ফল ড্রাগন চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা আক্তার হোসেন বেপারী। উন্নত জাতের ড্রাগনের চারা রোপণের দেড় বছরে দ্বিতীয় মৌসুমে মাত্র ১২ শতাংশ জমিতে ১ লক্ষ টাকার ড্রাগন বিক্রি করার প্রত্যাশা করছেন তিনি। তাঁর এ সফলতায় অনেকেই ড্রাগন চাষের উদ্যোগ নেয়ার প্রত্যাশায় এগিয়ে আসছেন।

তরুণ এ যুবক কৃষি উদ্যোক্তা আক্তার হোসেন বেপারী কচুয়ায় উপজেলার বিতারা গ্রামে তার ১২ শতাংশ জমিতে মিশ্র ফল বাগানে কেবলমাত্র ড্রাগন চাষ করেছেন। বিতারা গ্রামের ইসমাইল হোসেন বেপারীর পুত্র আক্তার হোসেন বেপারী ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে ১২ শতাংশ জমিতে ১ হাজার ড্রাগন চারা রোপণ করেন। চারা রোপণের এক বছর পরেই প্রথম বার তেমন ফল না আসলেও দ্বিতীবারে ব্যাপক ফল ধরেছে গাছে গাছে। ইতিমধ্যেই তার এ বাগানের ড্রাগন ফল বাজারজাত করতে শুরু করেছেন। প্রতিদিন এক’শ থেকে দুই’শ কেজি ড্রাগন উত্তোলন করা সম্ভব হচ্ছে। সেই হিসেবে আগামী নভেম্বর পর্যন্ত এ মওসুমে তার এ বাগান থেকে প্রায় ২ হাজার কেজি ড্রাগন ফল উত্তোলনের প্রত্যাশা করছেন তিনি। তার এ বাগানের ড্রাগন ফল টকটকে লাল বর্নের এবং খুবই সুস্বাদু। বর্তমান পাইকারী বাজার মূল্য প্রতি কেজি ২০০ টাকা হিসেবে ১ লক্ষ টাকার ড্রাগন বিক্রি করার প্রত্যাশা। এ ড্রাগন বাগান সৃজন করতে সব মিলিয়ে তার খরচ হয়েছে প্রায় লক্ষাধিক টাকা। আর তেমন কোন খরচ নাই। শুধু পরিচর্যা। আগামী বছরগুলো কেবলই আয়ের মুখ দেখবেন এ উদ্যোক্তা।

আক্তার হোসেন বেপারী’র এ ড্রাগন বাগানে ২ জন শ্রমিকের কর্ম সংস্থান হয়েছে। তারা ড্রাগন বাগানের আগাছা পরিস্কার করা, অবাঞ্চিত ফুল ছেঁটে ফেলা এবং সামান্য প্রয়োজনীয় সেচ ইত্যাদি কাজ করে থাকেন। এ কাজের বিনিময়ে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে চলে তাদের সংসার।

আক্তার হোসেন বেপারী ড্রাগন চাষের সফলতা এবং বাগানের সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেকেই আসছেন। তাদের অনেকেই তাঁদের নিজস্ব জমিতে ড্রাগন চাষের উদ্যোগ নিবেন বলে জানান। বাগান দেখতে আসা স্থানীয়রা জানান, তরুণ উদ্যোক্তা ও উপজেলা যুবদল নেতা আক্তার হোসেন বেপারীর ড্রাগন বাগান সত্যিই অনুকরণীয়। খুবই লাভজনক। তাঁর এ সাফল্য অনেককেই অনুপ্রাণিত করবে।

প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু, ২৪ আগস্ট ২০২৪

Share